আখ্যান আরস্ত ৩১ জানুয়ারি, ১৯৪৮। গান্ধী হত্যার পরদিন। পূর্ব পাকিস্তানের নোয়াকালি জেলার ফেনী মহকুমা। কিছুদিন আগেই মূলত নোয়াখালি সদরে ঘটে গেছে কুখ্যাত ৪৬-এর গণহত্যা। সেই যাত্রায় ফেনী বেঁচে গেলেও আশঙ্কার কালো মেঘ সরে না আকাশ থেকে। ফেনীর মধুপুর গ্রামের তালুকদার ও ব্যবসায়ী মরলীধর দাসের পরিবার কেবল নয়, পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত সংখ্যালঘু পরিবারে মনোজগতে আতঙ্ক ও আশঙ্কার মেঘ। নিজের দেশে- মাটি-বাতাসে আতঙ্কে শ্বাস নতে হবে কেন? কেন মনে হবে নিজভূমি পরবাসী? শেষপর্যন্ত থাকতে পারবেন কি তাঁরা আপন ভিটায়? তাছাড়া এই আতঙ্ক ও বাস্তুত্যাগের সিদ্ধান্ত কি একমাত্রিক, না কি এর পেছনে আছে হঠাৎ-দাপট-হারানো অংশের মনোজাগতিক বহুমাত্রিকতাও? বিশ্বের বৃহত্তম গণউদ্বাসনপর্বের বহুমাত্রিকতা সন্ধান করা হয়েছে এই উপন্যাসে। তৎকালীন শান্তিহীন ও খন্ডিত উপমহাদেশের রাষ্ট্রনীতি ও ব্যক্তিগত স্মৃতি মন্থন-করা এক নিরাসক্ত দলিল বিয়োগপর্ব। একরৈখিক ও বাবাবেগসিক্ত দেশভাগ-সাহিত্যের মাঝে িএক ব্যতিক্রমী আশ্চর্য আখ্যান।