ভেবে দেখুন, বাংলাদেশের প্রথম নভোচারি আপনি, উৎসাহে টগবগ করছেন আর ক'দিন পরেই রকেটে চড়ে বসার জন্য। কিন্তু ঠিক এই সময়েই আবিষ্কার করলেন একটা খুনের দায়ে ফাঁসানো হচ্ছে আপনাকে, স্পেস স্টেশনের বদলে হয়তো যেতে হবে জেলে। লাশ গুম করবেন কিভাবে? আর স্পেস স্টেশনে যেতে পারলেও শান্তি নেই-আপনি জানেন না আমেরিকান আর রাশিয়ান নভোচারিরা কি গোপন মিশন নিয়ে এসেছে, তারা মহাকাশেই একে অন্যকে মারার জন্য উঠেপড়ে লাগবে কি না। অভিনব কোনো বিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে কি তারা? আপনার এক সহকর্মী উদ্ভট আচরণ শুরু করলো কেন, মহাকাশ থেকে আসা কোনো রহস্যময় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি? বিভং কাকে বলে? এদিকে, যে মহাশক্তিধর অশুভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাত থেকে কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে মানুষ, সে আবার ফেরার চেষ্টা করছে না তো? পৃথিবীব্যাপী তার সমর্থকরা কিসের আশায় বিশৃঙ্খলা চালাচ্ছে? আর সবচেয়ে বড় কথা, সবকিছু বিগড়ে গেলে কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন আপনি? হরর-থ্রিলার ও এসপিওনাজ উপন্যাসের পরে নাবিল মুহতাসিম আসছেন এক টানটান সায়েন্স ফিকশন নিয়ে। 'বিভং' এর জগতে আপনাকে স্বাগতম!
নাবিল মুহতাসিম
নাবিল মুহতাসিমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রংপুরে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, মা গৃহিনী। রংপুর জিলা স্কুল এবং কারমাইকেল কলেজে অধ্যয়ন শেষে পড়াশােনা করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। বড় ভাই সুলেখক নিয়াজ মেহেদীর উৎসাহে ছােটবেলা থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার। ২০১২ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ বর্ন লিগ্যাসি, তারপর ফাইট ক্লাব। প্রথম মৌলিক উপন্যাস শ্বাপদ সনে প্রকাশিত হয় ২০১৬-এর বইমেলায়। পরের দু-বছর বাজিকর ট্রিলােজির এসপিওনাজ-ধূলার বাজিকর ও বাজি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। সম্প্রতি তার শ্বাপদ সনে উপন্যাসটি কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স থেকে ভারতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। বিভং তার চতুর্থ মৌলিক উপন্যাস এবং প্রথম সায়েন্স ফিকশন।