বিশ্বনবি (সা.) ছয় হাজার বছরের মানব সভ্যতার প্রেক্ষাপটে (হার্ডকভার)

বিশ্বনবি (সা.)-এর ওপর হাজার হাজার বই প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও এই বইটি রচনার প্রয়োজন অনুভূত হলো কেন? এই বইতে কি এমন কোনো বিষয়ের দিকে ফোকাস করা হয়েছে, প্রচলিত সীরাত গ্রন্থগুলোতে যার ঘাটতি রয়েছে? রাসুল (সা.)-এর জীবনী গ্রন্থগুলোতে সাধারণত: তাঁর জন্মকালীন আরব এবং তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। ছয় হাজার বছরের মানব সভ্যতার উত্থান-পতনের বিস্তারিত আলোচনা, মহানবি (সা.) এবং তাঁর অনুসারীরা সেই সভ্যতার গতিপথ নির্ধারণে যে ভূমিকা রেখেছেন, বিভিন্ন সভ্যতার ভালো-মন্দ বিশ্লেষণ করে, তার সাথে ইসলামি সভ্যতার তুলনা - ইত্যাদি সাধারণত: কম দেখা যায়, যা এই বইটির প্রধান উপজীব্য। মানব সভ্যতার একটি সন্ধিক্ষণে বিশ্বনবি (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন। সভ্যতার শুরু থেকে তাঁর আবির্ভাব পর্যন্ত পৃথিবী কেমন ছিল, তাঁর আগমনের পর, বিশেষ করে তাঁর আদর্শ প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার পর মানব সভ্যতার গতিপথের কি কোনো মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছিল, যা শুধু তাঁর অনুসারী নয়, বরং সকল সময়ের সকল অঞ্চলের মানুষের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল? তাঁর ওফাতের পর দেড় হাজার বছর চলে গেছে। এই সময়ে পৃথিবী প্রযুক্তি, চিকিৎসা, এমনকি শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। সেই অগ্রগতিতে তাঁর জীবন, আদর্শ ও কর্মের ভূমিকা কতটুকু? সামগ্রিকভাবে বর্তমানের চেয়ে তাঁর সময়ে মানুষ কি অধিকতর সাম্য, মানবতা ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ পেয়েছিল? মেসোপটামিয়া থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত যে ছয় হাজারের মানব সভ্যতার পথ-পরিক্রমা, তার প্রতিটি ধাপ ও নেতৃত্বদানকারী শক্তির ইতিহাস ও ভালো-মন্দ নির্মোহ দৃষ্টিতে আলোচনা করে এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে বইটিতে।