অবনের বাবাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। এরপর ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় সে। পা বাড়ায় অজানা উদ্দেশ্যে, সাথে ছিল একটা কালোজাদুর বই। যেখানে লেখা ছিল অসংখ্য পিশাচমন্ত্র। ছিল গ্রিক রক্ষা কবচ ‘তালিসমান’ আর ‘ফাইল্যাক্টার’। মন্ত্রপাঠে তৈরি হয় মন্ত্রপূত কবচ। ‘নেক্রোম্যান্সি’ শুরু করে অবন। ডেড ম্যাজিকে সফলতা পায় সে। মৃত আত্মা হিসেবে চলে আসে তার বাবা। চলে আসে ওরাকল যাজকের মৃত আত্মা ‘পিথিয়া’। প্রতিশোধে ছুড়ে দেয় কালোজাদু ‘ফিলা’। যৌন আবেগে তিশার ওপর প্রয়োগ করে ‘এরোস’। প্রতিশোধে একের পর এক খুন করে অবন। ওরাকলের মাধ্যমে ভবিষ্যত জেনে নেয়। খেতে থাকে টিকটিকি, মৃত কাক, হুতুম পেঁচা। অমরত্বের নেশায় মেরে ফেলে ঝুমুরকেও। বশ করতে চায় জিনদের মধ্যকার অন্যতম শক্তিশালী শয়তান প্রজাতি ‘ইফরিৎ’-কে। বিষকন্যার রক্তে সাহায্য চায় ইবলিশ এর সহচর ‘মারিদ’ এর। শুরু হয় ব্ল্যাক ম্যাজিক ও হোয়াইট ম্যাজিক যুদ্ধ। অবন হতে চায় পূর্ণাঙ্গ ‘বিষ পুরুষ’।
আহমেদ ফারুক
নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালােবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন ‘লাইটহাউজ’ নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছােটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭টি ছােটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। কাক’ তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরােদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।।