ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ তীব্র প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে আদিম মানুষেরা অস্তিত্ব রক্ষা করেছিল। এই লড়াই চলেছিল হাজার হাজার বছর ধরে। তারপর আবিষ্কৃত হলো কৃষি। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার বদলে দিল মানবেতিহাসের ধারা। খাদ্যের সন্ধানে বন্ধ হলো তাদের ছুটে চলা। কৃষিজমির পাশে সৃষ্টি হলো চাষীগ্রাম। উদ্বৃত্ত খাদ্য জমানোর জন্য তৈরি হলো পাত্র। অবসর সময়ে নতুন নতুন সৃষ্টির আনন্দে মেতে উঠল মানুষ। সৃষ্টি হলো নানান পেশাজীবী শ্রেণীর। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষ্টিকে ভিত্তি করে বিকশিত হলো সভ্যতার। ধাতুর ব্যবহার শেখার ফলে সভ্যতার বিকাশ দ্রুততর হলো। প্রথমে তামা, তারপর ব্রোঞ্জ ও শেষে লোহার ব্যবহার মানুষকে এগিয়ে ছিল বহু দূর। পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলো ছিল ব্রোঞ্জযুগের। তারপর এলো লৌহযুগের সভ্যতা। পৃথিবীতে মানুষের উদ্ভব থেকে শুরু করে ব্রোঞ্জ ও লৌহযুগের সভ্যতাগুলো সম্পর্কে বিশদ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে এ বইয়ে। দুষ্প্রাপ গ্রন্থ-সাময়িকীর বহু মূল্যবান উদ্ধৃতি এ বইকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করে সংরক্ষণযোগ্যতা দিয়েছে।