ভূমিকা বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের চরম উন্নতি ঘটেছে। নিউক্লিয়ার বোমা, চাঁদে রকেট ও মানুষ পাঠানো, কম্পিউটার ইত্যাদি এর কয়েকটি উদাহারণ হিসেবে বলা যেতে পারে। লেখক আব্দুল গাফফার রনি প্রাঞ্জল ভাষায় বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলো বইটিতে বর্ণনা করেছেন। বইতে বিশটিরও বেশি বৈজ্ঞানিকবিষয় ও আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে ‘মহাবিশ্বের প্রসারণ ও বিগ ব্যাং’ শীর্ষক নিবন্ধ থেকে কৌতূহল পাঠকের জন্য খানিকটা অংশ তুলে দিচ্ছি। ‘বিগ ব্যাং’ শব্দটিই বলে দিচ্ছে এর প্রকৃতি পৃথিবীর বিজ্ঞানী সমাজের বৃহৎ অংশই ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্বকে মেনে নিয়েছে । না মেনে উপায় আছে? বৈজ্ঞানিক কোনও তত্ত্ব তো শুধু বিশ্বাস আর ধারণাকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকে না। যে দমকা বাতাসেই তালপাতার সেপাইয়ের মত হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে। কোন তত্ত্বও বিজ্ঞানের জগতে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে একে অবশ্যই তাত্ত্বিক ও গানিতিক যুক্তির এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে হবে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মোটামুটি ১৬ বিলিয়ন বছর আগে বৃহৎ এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত আগের ঘটনা তারা বুঝলেন কী করে আর তার যুক্তি প্রমাণই বা দেখানো হলো কোন প্রক্রিয়ায়। পুরো নিবন্ধটি পড়লে বিষয়টি অত্যান্ত সহজ ভাবে যে কেউই বুঝতে পারবেন। লেখক এ বিষয়ে অত্যান্ত প্রাঞ্জল ভাষায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন যা থেকে সাধারণ পাঠকওেএ বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারে। এই বইটি বিজ্ঞান মনস্ক পাঠক ছাড়াও সাধারণ পাঠরে কাছেও বিশেষভাবে আদৃত হবে।