সম্পাদকীয় প্রিয় পাঠক, বহু বইয়ের ভিড়ে আমাদের বইটি হাতে তুলে নিয়েছেন তাই প্রথমে আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। কথায় আছে, “লেখক লেখেন তাঁর ধ্যানে এবং পাঠক পড়েন তাঁর জ্ঞানে।” যুগে যুগে সেরা সাহিত্যিকগণ সর্বদা চেষ্টা করেছেন তাঁদের লেখায় গভীর জীবনবোধকে তুলে ধরতে, সমাজের দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা, পল্লী ও নাগরিক চালচিত্র ফুটিয়ে তুলে পাঠক তথা সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বর্তমানে সময়ে ফেসবুক তথা অনলাইন হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম আর এই অনলাইনে আছে অসংখ্য লেখক ও অগুণিত পাঠক। এই অসংখ্য লেখকের মিলনমেলা থেকে সেরা লেখকদের সেরা লেখাটিকে নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের এই “বিপ্রতীপ”-বইটি, যাঁদের সবাই অনলাইনের পরিচিত ও পরীক্ষিত নাম। ২০১৪-এর মহান একুশে বইমেলায় বিদ্যানন্দের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছিল “শব্দভুক” ও “মেঘক্রান্তি” নামে দুটি বই যা এবারে মতো অনলাইনের সেরা লেখকদের নিয়ে সাজানো হয়েছিলো। ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বইয়ের যাবতীয় আয়ের অর্থ প্রায় তিনশ’র অধিক অসহায় শিশুর শিক্ষা, খেলাধুলাসহ যাবতীয় খরচ বহনের জন্য ব্যয় করা হবে। যার জন্য সকলের প্রিয় অনলাইনের উদীয়মান তরুণ লেখকরা তাঁদের কলম ধরেছেন! বইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে আছে যেমন প্রেম-বিরহ, তেমনি আছে রহস্য আর থ্রিলিং। কথা দিচ্ছি প্রিয় পাঠক বইয়ের প্রতিটি শব্দে আপনি খুঁজে পাবেন জীবনবোধের ইতিকথা! প্রিয় পাঠক, বিদ্যানন্দের এই প্রচেষ্টা সফল করতে প্রয়োজন আপনাদের সকলের দোয়া, ভালবাসা ও সমর্থন! সাফল্যটুকু সব অনাথ বাচ্চাগুলো এবং আপনাদের জন্য আর ব্যর্থতার দায়ভারটুকু আমাদের! -সালু আলমগীর সম্পাদক।
সালু আলমগীর
কাসাফাদ্দৌজা নোমান
এলার্ম বাজলে উঠতে হবে এই শপথ করেই প্রতিরাতে ঘুমাতে যান এবং যথারীতি সকালে এলার্ম মিস করেন। তাই কাসাফাদ্দৌজা। নােমান-এর কাছে সকালে এলার্ম বাজতে থাকার মানে এই নয় যে, সঠিক সময়ে জাগতে হবে। তার কাছে এলার্মের মানে, দেরিটা যেন। আরাে বেশি দেরি না হয়ে যায়। সময় নিয়ে যার এমন লুকোচুরি, সময় তাকে নিয়ে কিছু দিন লুকোচুরি খেলে কিছু দিন তিনি সময়কে নিয়ে লুকোচুরি খেলেন। তাই হয়তাে তার বারের বইয়ের নাম সময় হলাে অসময়ে। এটি তার দ্বিতীয় উপন্যাস তৃতীয় বই। এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় যথাক্রমে অদ্ভুত তুমিহীনতায় ভুগছি (গল্প সংকলন) এবং জীবন বৃত্তান্তে নেই (প্রথম উপন্যাস)।
লেখালেখির শুরু ফাকিবাজি আর অপ্রয়ােজনীয়তা থেকে। পড়াশােনায় ফাকি দিয়ে যেই অপ্রয়ােজনীয় কাজটি করতেন সেটি অযথা লেখালেখি। আর এভাবেই জগতের যাবতীয় অযথা কাজের মাঝে নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে জাতীয় দৈনিকের ক্রোড়পত্রে রম্য লেখার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু। কর্মজীবনে তিনি সকালে যথাসম্ভব দেরি করে বাস ধরেন এবং এলার্ম-বিলম্বিত ঘুমটুকু পুষিয়ে অফিসে যান। আবার রাতে ফিরতি বাসে বাড়ি ফেরেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। মাঝের সময়টুকুতে পার করে দেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় পণ্যের গুণগান করতে করতে।
কাসাফাদ্দৌজা নােমান এর জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার পশ্চিম খৈয়াছড়া গ্রামে। কৈশাের থেকে যৌবন, বন্দরনগরী থেকে রাজধানী।