একটি ছায়ামূর্তি এগিয়ে আসছে। চাঁদের আলো এসে পড়েছে তার উপর। সেই আলোতে তার পরিধানে বাঁশের বর্ম চকচক করছে। দুইটি তলোয়ার ঝিকমিক করছে।
এ আর কেউ নয়। সামুরাই যোদ্ধা!
ইহাম এবং আরিয়া দুইজনেই আরও কাছাকাছি এসে বসল। তাদের চারদিক থেকে সামুরাই যোদ্ধারা ঘিরে ফেলেছে। ভয়ংকর ফাঁদে পড়ে গেছে তারা।
ইহাম পেছনে যাবার চেষ্টা করল। পাথরের গায়ে তার পিঠ ঠেকে গেছে।
এদিকে এক সামুরাই যোদ্ধা পায়ে পায়ে তাদের কাছে চলে আসছে। সে একবার ডানে তাকাচ্ছে। একবার বায়ে। সম্ভবত সামুরাই যোদ্ধা এখনো ইহাম এবং আরিয়াকে দেখতে পায়নি। ইহাম বুকে শ্বাস আটকে রাখল।
আরিয়া ইহামের কানের কাছে মুখ এনে বলল, ‘প্রকৃতির মতো হও।’
‘কীহ?’
‘প্রকৃতির মতো হও। পাথরের মতো হও।’
ইহাম মনে মনে বলল, হায় আল্লাহ, আরিয়ার পাগলামি এখনই শুরু হতে হলো! কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো আরিয়ার কথা শোনা ছাড়া আপাতত অন্য কোনো পথও নেই। সে চোখের পাতা বন্ধ করল। তারপর চেষ্টা করল পাথরের মতো স্থির হওয়ার। যেন সে নিজেই একটি পাথরের অংশ।
কী হলো তারপর?
টানটান উত্তেজনায় ভরপুর বিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি, পুরাণ, ইতিহাসের মিশ্রণে লেখা ইহাম এবং আরিয়ার নতুন অভিযানে সবাইকে স্বাগতম।