‘বিকেলের মৃত্যু’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কথাঃ ‘বিকেলের মৃত্যু’ সেই আশ্চর্য উপন্যাস, যা আনন্দবাজার রবিবাসরীয়তে প্রকাশকালেই, সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে, সর্বস্তরের পাঠককুলকে করে রেখেছিল উন্মুখ, রুদ্ধশ্বাস ও সম্মোহিত। একাধারে প্রেমের ও রহস্যের, বিজ্ঞান-কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেনচারের উপাদানে তৈরি এই তীব্রগতি উপন্যাসে আদ্যন্ত নেশা-ধরানো উত্তেজনা| এ-কাহিনীর নায়ক ববি রায়। এক বিস্ময়কর প্রতিভা। কলকাতার এক মালটিন্যাশনাল কোম্পানির জাঁদরেল বস। ইলেকট্রনিক্সের জাদুকর, ক্যারাটে-কুংফুতে সুদক্ষ, সুরসিক, আত্মভোলা, বেঁটেখাটো, বিরলকেশ এই মানুষটির নামের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক সংগোপন কোড৷ ববি রায়েরই প্রাইভেট সেক্রেটারি লীনা৷ লীনার সঙ্গে বসের অদ্ভুত সম্পর্ক। বস তাকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এমন একটি গাড়ি দেন, যে-গাড়ি বুক কাঁপিয়ে কথা বলে ওঠে। এই গাড়ির রহস্য, ববি রায়ের আচমকা অন্তর্ধান, ‘নীল মঞ্জিল নামের এক দুৰ্ভেদ্য দুৰ্গ, ওত-পেতে-থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের মরণ-ফাঁদ, লীনা ও ববি রায়ের বিচিত্র সম্পর্কের টানাপোড়েন—এই সব নিয়েই অপ্রতিরোধ্য কৌতূহলকর এক আধুনিকতম উপন্যাস ‘বিকেলের মৃত্যু’।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণকারী শীর্ষেন্দু ১৯৫৯ সালে দেশ পত্রিকায় তার প্রথম গল্প *জলতরঙ্গ* প্রকাশ করেন। সাত বছর পর একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তার প্রথম উপন্যাস *ঘুণ পোকা* প্রকাশিত হয়। শিশুদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস ছিল *মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি*, এবং তার সৃষ্ট অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র হলো শবর দাশগুপ্ত।