রহস্যের খোঁজে শিপলু আর ওর তিন ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিলে একটা অনুসন্ধানী দল করেছে। বাকি তিন বন্ধু হলো জাভেদ, তন্ময় ও কংজুরি। ওরা সবাই একই কোচিং সেন্টারের ছাত্র। জাভেদের প্রিয় শখ হচ্ছে ভিডিও গেমস। সারাক্ষণ নতুন নতুন উত্তেজনাপূর্ণ ভিডিও গেমসের সন্ধান করছে। তার মতে ভিডিও গেমসের সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান করতে পারলে বুদ্ধি খোলতাই হয়। আইসিটিতে সে অত্যন্ত দক্ষ। তার প্রিয় চরিত্র হচ্ছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। নিজের ঘরের দেয়ালে জাকারবার্গের একটা হাসিমুখের বিরাট রঙিন পোস্টার ঝুলিয়ে রেখেছে। ওর ঘরে ঢুকলে মনে হবে জাকারবার্গ বুঝি হ্যালো বলছে। জাভেদ নিজেই এখন একটা ভিডিও গেমস তৈরি করার চেষ্টা করছে। তন্ময় কিছুটা ভাবুক গোছের। উদাস চাউনি। এলোমেলো চুল। কবিতা লেখে। আবার কুংফু কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছে। কুংজুরি মারমা যুবক। বান্দরবনের সাজেক ভ্যালীর কাছে বাড়ি। খুলনা মেডিকেল কলেজের ছাত্র। একজন দক্ষ ভিডিওগ্রাফার হিসেবে তার সুনাম আছে। ফটোগ্রাফি নেশা। বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তোলে। ফটোগ্রাফিতে বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। শিপলু হচ্ছে ওদের দলনেতা। ও ভাবছে দলটিকে রহস্য অনুসন্ধানী হিসেবে গড়ে তুলবে। চারজনের এই দলটি রোমাঞ্চকর অভিযানে যেতে চায়। যেখানে পদে পদে রয়েছে উত্তেজনা। দুর্গম বনে পাহাড়ে গিয়ে ট্রেকিং পথের অনুসন্ধান করে। এ ধরনের রোমাঞ্চকর ট্রেকিং পথ খোঁজাকেই শিপলু মনে করে অভিযান। সিলেটের মালনিছড়া চা-বাগানে গিয়ে সেবার যা হলো। সেখানে গিয়ে শুনল বাগানের গহীনে পুরনো এক সুড়ঙ্গ পথ রয়েছে। যে পথের নাম হলো হারং হুরং। টিলাময় চা বাগানের ভেতরে সুনসান পরিবেশে অচেনা এক সুড়ঙ্গ। হিলুয়াছড়ার সেই সুড়ঙ নিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। জনশ্রুতি আছে, ১৩০৩ সালে হযরত শাহজালাল (রা.)-এর সিলেটে আগমনের খবর পেয়ে রাজা গৌড় গোবিন্দ তার সৈন্যসামন্ত সহ এই সড়ুঙ্গ পথ দিয়ে পালিয়ে যায়। সেই রহস্যঘেরা পথ খুঁজে পেয়ে এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করেছিল শিপলু।