বিপুল এই মহাবিশ্বে কেউ একা নয়।মহাবিশ্বের বুননের মধ্যে এক হয়ে আছে। প্রত্যেকে এবং সৃষ্টিকর্তা। মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ নয়। একজনকেও ছাড়া। ভাবলেই জীবন অমূল্য হয়ে ওঠে যে, এই মহাবিশ্বে আমাদের প্রত্যেকের স্থানই কী অসীম গৌরবের, কী অনন্ত মর্যাদার! বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মণি ভৌমিকের ‘বিজ্ঞানে ঈশ্বরের সংকেত’ গ্রন্থে পাওয়া যায় মহাজাগতিক ধর্মীয় অনুভব। তার মতে, বিজ্ঞানের যুগে নাস্তিক হওয়াটাই অবৈজ্ঞানিক। প্রাচীন ভারত নিরাকার সত্তাকে ‘ব্রহ্ম’ বলে উপলব্ধি করেছিল কতকাল আগে। আজ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেই টের পাওয়া যায়, সারা মহাবিশ্ব জুড়ে রয়েছে এক বিমূর্ত বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ। যাকে একই সঙ্গে বলা যায় স্রষ্টা এবং ধারক। ড. মণি ভৌমিকের সাম্প্রতিক বেস্টসেলার ‘কোড নেম গড, দ্য স্পিরিচুয়াল অডিসি অফ আ ম্যান অফ সায়েন্স’-এর বাংলা ভাষান্তর ‘বিজ্ঞানে। ঈশ্বরের সংকেত’ সৃষ্টি-রহস্যের আলােচনায় উপহার দেয় এমন অনন্য অনুভূতি, যেখানে আদিসত্তার সন্ধানে বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের কোনও বিবাদ নেই।
মণি ভৌমিক
মণি ভৌমিক ১৯৩১ সালের ৩০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত তৎকালীন মেদিনীপুরের সিউড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।আন্তর্জাতিক খ্যাতির বাঙালি বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর অবদান তাকে এনে দিয়েছে এক বিরল সম্মান: তিনি একই সঙ্গে নির্বাচিত ‘ফেলাে’ আমেরিকান ফিজিক্যাল সােসাইটির এবং ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্সএর। আই আই টি থেকে পেয়েছেন সারা। জীবনের বৈজ্ঞানিক অবদানের জন্য সাম্মানিক ডি এসসি। সারস্বত সাধনায় অভূতপূর্ব সাফল্যের পাশাপাশি তিনি লক্ষ্মীরও বরপুত্র। বিশ্বের অন্যতম সফল এবং বিত্তবান বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি উপার্জন করেছেন স্বীকৃতির আলােকবৃত্ত ‘লাইফস্টাইলস অফ দ্য রিচ অ্যান্ড ফেমাস’ টিভি-সিরিয়ালে। ১৯৭২ সালে আমেরিকান অপটিকাল সােসাইটির মিটিং-এ ড. ভৌমিকই ঘােষণা করেন জগতের প্রথম এক্সিমার লেজার আবিষ্কারের ঘটনাটি। এই এক্সিমার লেজার টেকনােলজির সাহায্যেই বিশ্বের পনেরাে মিলিয়ন মানুষ ফিরে পেয়েছেন চোখের দৃষ্টি, চশমার সাহায্য ছাড়া। এখন ড. ভৌমিক মানুষকে ফিরিয়ে দিতে চান তাদের অন্তর্দৃষ্টি। বিজ্ঞানের হাত ধরে তিনি সৃষ্টির উৎসসন্ধানী, যে-উৎস উপনিষদের নিরাকার ব্রহ্মের মতাে সর্বত্র বিরাজমান। সম্প্রতি ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত