আমার কথা বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান। তথ্য প্রমাণ এবং প্রথাসিদ্ধ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে বিজ্ঞান তাকে সত্য বলে স্বীকার করে না। কিন্তু সব সত্যের সঠিক কোনাে মাপকাঠি নেই। আজ যাকে ভ্রান্ত বলে মনে হয়। পরে ওটাই বৈজ্ঞানিক সত্যে পরিণত হয়। তাহলে বৈজ্ঞানিক সত্য বলতে বােঝায় বিজ্ঞান কতদূর পর্যন্ত পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আনতে পেরেছে তাকেই সে শুধু বৈজ্ঞানিক সত্য বলে মানে। বাকি সবই অসত্য!
ভবেশ রায়
যিনি নতুন প্রজন্মের জন্য সাহিত্য ও জ্ঞানের বৃহত্তর দুয়ার খুলে দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছিলেন, তিনি এক নিঃসঙ্গ শব্দ-অভিযাত্রী। বিশ্বের বৃহত্তর জগৎ থেকে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক নতুনধারার সাহিত্য। ভবেশ রায়-এর জন্ম ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই। ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাইশাকান্দা গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তারপর কুসুরা আব্বাস আলি হাইস্কুলে। উচ্চ মাধ্যমিক করটিয়া সা’দত কলেজে। স্নাতক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্নাতকোত্তর (বাংলা সাহিত্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। অধুনালুপ্ত দৈনিক সমাজ পত্রিকার ফিচার এডিটর ছিলেন। তারপর সমবায় কর্মকর্তা (জনসংযােগ) হিসেবে ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু। বর্তমানে সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিয়ােজিত। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা একশ'র বেশি। কিশাের বিজ্ঞান, বিজ্ঞান প্রজেক্ট এবং জীবনী সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। তাঁর এ নিজস্ব বলয়ের পরিধি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে পাঠকপ্রিয়তাও। ২০০৪ সালে তিনি অর্জন করেছেন লেখক সম্মান পুরস্কার (কলকাতা)।