ভূমিকা প্রাণীজগৎ ও উদ্ভিদজগতের উদ্ভব ও বিবর্তন এবং মানুষের বুদ্ধির বিকাশ নিয়ে সব আলোচনাই এতোদিন বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এমনকি প্রাণবন্ত একজন মানুষের উৎস যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম, তা স্পষ্ট হয়েছে। ফলে জীববিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যবধান বহুলাংশে কমে গেছে। অন্যদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে বিশেষায়িতভাবে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জ্যোতির্জীববিজ্ঞান। অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বহির্জাগতিক প্রাণের অস্তিত্বের। এর ফলে মহাকাশ ভ্রমণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। অবশ্য মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে সমাজে নানা অসংগতি বিদ্যমান। ‘বিগব্যাঙ থেকে মানুষ’ গ্রন্থটি সেইসব অসংগতি দূরীকরণে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে। অন্তত সেই আদলে গ্রন্থটিক লেখার চেষ্টা করেছি।
বিজ্ঞান হচ্ছে আলো। আর এই আলোর মধ্যে এক চিলতে অন্ধকার নিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বিজ্ঞানের জ্ঞান অলৌকিক কোনো মহাগ্রন্থে লেখা নেই। কারণ এটি মানবীয় জ্ঞান। আজকে বিজ্ঞান যে দশায় আছে, তৃতীয় সহস্রাব্দের প্রথমে সেই দশা কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে, তা এ মুহুর্তে আমাদের কল্পনাতীত ছিল। ফলে তাদের যদি কোনো একজন স্রষ্টা থেকেও থাকে, তার নিকটও আজকের বিজ্ঞান দুর্বোধ্য। যা হোক, কোনো গ্রন্থ লেখার চেয়ে এক ভূমিকা লেখা আরও কঠিন কৃত্য। সেইঅর্থেগ্রন্থলেখা সহজ। এই বিবেচনায় আমি সফল হয়েছি। অন্তত, আমি তা-ই মনে করি। তারপরও বিগব্যাঙ থেকে মানুষ গ্রন্থটির পাঠকপ্রিয়তা যে জরুরি, তা আমি অস্বীকার করছি না। কারণ এখানে অর্থিক বিনিযোগ রয়েছে। আর বিনিয়োগের সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে শ্রদ্ধেয় মিলন নাথ আমাকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছেন। যেকোনো গ্রন্থলেখায় গ্রন্থকার একা নন। এক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটে নি। ফলে গ্রন্থটি প্রকাশের অনেককেরই ধন্যবাদ প্রাপণীয়।
রুশো তাহের তাত্ত্বিক গবেষক : জ্যোতির্জীববিজ্ঞান ও নিউরোসায়েন্স চেম্বার অব সায়েন্স ফিলোসফি, ঢাকা মে ২০০৬
সূচিপত্র * বিগব্যাঙ থেকে মানুষ * আপেক্ষিকতা কতো সহজ * মিল্কিওয়ের বিচিত্র জগৎ * জ্যোতির্জীববিজ্ঞান * বহির্জাগতিক সভ্যতার সন্ধানে মহাকাশযান এবং আলো * কসমোলজি * মহাকাশ ভ্রমণ * মহাবিশ্বের নির্মাণ সামগ্রী * বুদ্ধিগত বিনির্মাণ ও নিউরোসায়েন্স