‘াসীয়ত আরবি শব্দ। এর অর্থ: উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, আদেশ ইত্যাদি। এ পৃুথবীতে মানুষের আগমন ক্ষণকালের জন্য। মৃত্যুৈই তার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি (সূরা আনকাবুত: ৫৭)। জীবনে ঘটে যাওয়া ক্রটি-বিচ্যুীতর প্রতিকার করার শেষ সুযোগ হিসেবে ইসলামী আইনে অসীয়তের বিধান রাখার হয়েছে। পাশাপাশি এটি উত্তম কাজ করে বিদায় নেওয়ার একটি সুন্দরতম ব্যবস্তাও বটে। ইসলামে অন্যান্য বিধিবিধানের মতো মৃত ব্যক্তির অসীয়তের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। মৃতিব্যক্তির বৈধ অসীয়ত পালনে কোনো প্রকার গড়িমসি কাম্য নয়। মহান আল্লাহ বলে,
“যারা তার অসিয়ত গুনে নেওয়অর পর তা পরিবর্তন করবে, এর পাপের দায়ভার তা পরিবর্তন করবে, এর পাপের দায়ভার তাদের উপরই বর্তাবে।” (সূরা বাক্বারাহ: 181)
অসীয়ত শুরধু টাকা-পয়সা কিংবা সম্পত্তি বণ্টনব্যবস্থার সাথে নির্দিষ্ট নয়; মৃত্যুকালীন যে কোনো ধরণের উপদেশ অসীয়ত বলে গণ্য হবে। ইবনু উমার রদিয়াল।লঅহু আনহু থেকে বর্নিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصى بِهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ অর্থাৎ, কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য অনুচিত যে, তার কাছে অসীয়তযোগ্য কোনো বিষয় রয়েছে, এমতাবস্থায় সে দু’ রাত কাটাবে অথচ তার নিকট তার অসীয়ত লিখিত থাকবে না। (সহীহ বুখারি)
উক্ত হাদিসে বর্ণিত ‘অসীয়তযোগ্য কোনো বিষয়’ (شَيْءٌ يُوصى بِهِ) কথাটি ব্যাপক। অর্থ-সম্পদ ছাড়াও যে কোনো বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। (ফাতহুল বারী, সংশ্লিষ্ট হাদিস দ্রষ্টব্য)।
আম্বিয়অ আলাইহিমুস সালাম, সাহাবায়ে কিরাম রদিআল্লাহু আনহুম, তাবিঈ ও সালাফগণ রহিমাহুমুল্লাহ মৃত্যুকালীন কতিপয় উপদেশবাণী নিয়ে তৃতীয় হিজরি শতকে (২৯৮ হি.) জন্ম নেয়া প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আবূ সুলাইমান মুহাম্মাদ ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনু যাবর আর-রাবায়ী (মৃত্যু: ৩৭৯ হি.) রচিত وصايا العلماء عند حضور الموت (আলিমগণের মৃত্যুকালীন অসীয়ত/উপদেশ) একটি প্রাচীন প্রামাণ্য গ্রন্থ। ‘দারু ইবনি কাছীর’ থেকে প্রকাশিত আরবী নুসখাটির তাহকীক ও সূচিপত্র তৈরি করেছেন শাইখ সালাহ মুহাম্মাদ আল-খিয়ামী এবং হাদিসগুলোর তাখরিজ ও প্রয়োজনীয় টীকা সংযোজন করেছেন শাইখ আবদুল কাদির আল-আরনাউত.