ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মানবজীবনের আদি ও মূলে ভেষজ উদ্ভিদ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রাচীন যুগে আজকের মতো পাস করা ডাক্তার কিংবা আধুনিক ল্যাবরেটরি ছিল না। তখন চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম উপাদান ছিল প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ। আজকের অভিজ্ঞ ডাক্তারের জায়গায় তখন ছিল কবিরাজ। কিছুদিন আগেও একজন ডাক্তার রোগ নির্ণয় করতেন অনুমানের ওপর। তারপর ওষুধ দিতেন। প্রথম ওষুধে কাজ নাহলে পরে অন্য ওষুধ দিতেন।কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যাণে ল্যাবে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে রোগীর ওপর। প্রাচীন যুগেও কবিরাজরা অনুমানের ওপর রোগ নির্ণয় করতেন এবং অনুমানের উপর নির্ভর করেই ওষুধ প্রয়োগ করতেন। প্রথম ওষুধে কাজ না হলে ওষুধ পাল্টে দিতেন। আর এভাবেই কোনো ভেষজ উদ্ভিদ প্রয়োগে কোন রোগ সারবে তা জানা হয়ে যায়। তারপর তো রোগ সারাতে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার বহুলভাবে প্রচলিত হয়ে পড়ে। জায়গায় জায়গায় কবিরাজরাখুলে বসেন চিকিৎসা কেন্দ্র। যা আজ অবধি চলছে।
বর্তমানে ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। তাতে রোগ নির্মূলে ভেষজের আশ্চর্য সব গুণের কথাই উঠে আসছে। দিন দিন তাই মানুষ এ উদ্ভিদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
ড.হাসনা হেনা বেগমের ‘ভেষজ উদ্ভিদ পরিচিতি গুণাগুণ ও ব্যবহার’ ভেষজ উদ্ভিদের এক মূল্যবান গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে প্রতিটি ভেষজ উদ্ভিদের ছবিসহ পরিচিতি এবং তর গুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । পাশাপাশি নানা রোগে তার প্রয়োগবিধিও তুলে ধরা হয়েছে। যা পাঠ করে ভেষজ উদ্ভিদ সম্বন্ধে যেমন জানা যাবে তেমনি জানা যাবে কোন রোগে কোন উদ্ভিদ কার্যকর তাও।
দুই খণ্ডে প্রথম খণ্ডে উপস্থাপিত বর্ণমালার পরের অক্ষর দিয়ে যেসব ভেষজ উদ্ভিদ আছে তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যাতে ঠাঁই পেয়েছে আমাদের অতি পরিচিত অথচ অত্যন্ত কার্যকর কিছু ভেষজ উদ্ভিদ। আশা করছি মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে রচিত ড. হাসনা হেনা বেগমের এ গ্রন্থটি অনেকের কাজে আসবে।