বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে প্রমাণিত হয়, যিনি গত হয়েছেন তিনি হারিয়ে গেছেন। মওলানা ভাসানীর জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জীবিত ভাসানীর চাইতে মৃত ভাষানী অনেক শক্তিশালী প্রবাদটি আজও সত্য হয়ে রয়েছে। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধেযে ব্যক্তি লংমার্চ নিয়ে রাজশাহীর কানসাট পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিলেন তিনি কয়েকমাস পর ১৭ নভেম্বর দেশবাসীকে ছেড়ে চলে যাবেন তা কল্পনা করাও কষ্টকর ছিল। কিন্তু মৃত্যু অনিবার্য সত্য। আমাদের মেনে নিতে হয়।
মওলানা ভাসানী চলে যাওয়ার এক বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তর হতে তারস্মরনে যে সংবাদপত্রগুলোতে যে সব লেখা বের হয়েছিল তা আবারো প্রমাণ দিয়েচিল তিনি ছিলেন কৃষক শ্রমিক-মেহনতী মানুষের প্রকৃত নেতা। আমার সংগ্রহে মওলানা ভাসানী নিজের প্রকাশিত ও তাঁর উপর রচিত বিভিন্ন সাময়িকী, সাপ্তাহিকী, বুলেটিন রয়েছে। যা প্রকাশনার তালিকায় নিলে শ’য়ের অধিক বই করা যাবে। করার পরিকল্পনা আমার রয়েছে। আমার কাছে যা আছে তা আমি পুরোপুরি পেয়েছি মওলানা ভাসানীর একান্ত সহচর আজাদ সুলতানের কাছ থেকে। তিনি বেঁচে থাকলে নিজে হয়তো সম্পাদনা করতেন আর আমি তা প্রকাশ করতাম মাত্র । ইতিহাসের পাতায় আবারো মওলানা ভাসানী সম্পর্কিত লেখাগুলো বই আকারে স্থান দেয়ার জন্য মওলানা ভাসানীর ছেলে আবু নসর খান ভাসানীর সম্পাদিত সাপ্তাহিক প্রাচ্যবার্তা (১৯৭৭ সালের নভেম্বরে মওলানা ভাসানীর প্রতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ) ১৯৭৭ সালের একটি সংখ্যা পুরোপুরি সংকলিত করলাম। পত্রিকায় প্রকাশিত বানান ও বাক্যরীতি হুবহু বড়ায় রাখা হয়েছে। একানে বলে রাখা বালো, কোনো লেখক হয়তো আইয়ুব খান লিখেছেন আবার কেউ আইউব খান লিখেছেন। আবার লক্ষ করা যায়, কোনো লেখক বাঙ্গালী, বাঙালী দুরকম বানান তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। বেশ কয়েকটি লেখায় লেখকরা তাদের চর্চার বানান লিকেছেন এবং প্রাচ্যবার্তা সম্পাদনার সাথে যুক্তরা তা হুবহ প্রকাশ করেছেন। যেহেতু সাপ্তাহিক প্রাচ্যবার্তা একটি দলিল তাই লেখকদেও বানারীতি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।