নিবন্ধের শুরুতে ‘টস’ নামে একটি অংশ আছে যেখানে কেস স্টাডির মাধ্যমে নিবন্ধটি লিখবার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। সকল লেখায় কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে ‘পিচ’ এর উপস্থিতি লেখাগুলোকে ভিন্নমাত্রা দেবার উদ্দেশ্যে। এই পিচ মূলত লেখকের ব্যক্তিগত দর্শনের প্রতিচ্ছবি। বাংলা ভাষার ক্রিকেট বইগুলো যেখানে কলাম লেখার সংকলন অথবা তারকা ক্রিকেটারের জীবনচরিত হয়ে থাকে, সেখানে এতো ব্যাপক বিষয়বস্তু এবং কিছুটা ব্যতিক্রমী গঠনবৈশিষ্ট্যের সমণ্বয়ে ক্রিকেটের মৌলিক বই লেখার উদ্যোগ বস্তুত ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। ক্রিকেটে আগ্রহী মানুষজনের কাছে সেই ভালোবাসা গ্রহণযোগ্যতা পেলেই এই বইয়ের চূড়ান্ত সার্থকতা অর্জিত হবে।
মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়
প্রথমত আমি একজন মানুষ। তাই সবার মত আমারও একটি জন্মস্থান-জন্মকাল ছিল। তবে তা প্ৰকাশ-অপ্ৰকাশে গল্পের প্রাসঙ্গিকতায় কোনই গুরুত্ব তৈরি হয় না। ঠিক যেমনটা হবে না। আমার শিক্ষাগত কিংবা পেশাগত পরিচয়ে। অক্ষরজ্ঞান নেয়া ও কিছু কাগুজে সনদ সংগ্রহের প্রয়োজনে যেমন কোন প্রতিষ্ঠানে আমাকে পড়াশোনা তাগিদেও কোথাও নিযুক্ত আছি, এটাই মৌলিক সত্য। মানুষের পেশাগত কিংবা সামাজিক আইডেন্টিটি তত্ত্বে কখনোই আস্থা পাইনা। নিজেকে তাই "ফ্রি সোল’ বা ‘মুক্ত আত্মা’ পরিচয় দিতেই পরম স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য আমার। তবে গল্প নিয়ে যে কোন কট্টর সমালোচনাকে ক্লেদাক্ত প্ৰশংসার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়ন করি। সুতরাং সমালোচনার উদ্দেশ্যে চেনা-অচেনা যে কারো সঙ্গে আন্তর্জালিক যোগাযোগ হতে পারে। সার্বক্ষণিক শর্তেই।