ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ শান্দার মানতা, মাল মানতা ও বাজিকর মানতা এই তিন সম্প্রদায়ের যাযাবর মানুষকেই সকলে ‘বেদে’ জনগোষ্ঠী নামে চেনে। সাপ ধরা, সাপ খেলা দেকানো, সাপ বিক্রি করা, সাপের বিষ নামানো, টোটকা চিকিৎসা, শানা তৈরি-এরকম হরেক রকম জীবকা ধারণ করলেও আমরা তাঁদের জীবনযাত্রার অনেক খবরই রাখি না। তাঁদের অন্দরমহলের খবর অনুসন্ধান করেছেন গবেষক রঞ্জনা বিশ্বাস। মূলত সাভার অঞ্চলের বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা থেকে তথ্য আহরণ করা হলেও বাংলাদেশের বেদে সম্প্রদায়ের জীবনের অনেক চিত্রই এখানে পাওয়া যাবে। এটি তেমন কোনো প্রণালীবদ্ধ গবেষণা না হলেও নিবিড় ক্ষেত্রানুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের খাঁদ নেই, কোনো গোঁজামিল নেই। তাই এটি হতে পারে গবেষকের স্বনির্মিত অনুসন্ধান-পদ্ধতির আদর্শ ফসল। ড. তপন বাগচী উপপরিচালক বাংলা একাডেমী,ঢাকা
রঞ্জনা বিশ্বাস
রঞ্জনা বিশ্বাস ১৯৮১ সালের ১০ ডিসেম্বর গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের খাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নির্মল বিশ্বাস ও মা পরিমলা বিশ্বাস। তিন ভাই-বােনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় বােন খ্রিস্টিনা সীমা বিশ্বাস ও ছোটভাই রােল্যান্ড রাসেল বিশ্বাস। রঞ্জনা বিশ্বাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস।
রঞ্জনা বিশ্বাসের মূল আগ্রহের বিষয় ফোকলাের ও নৃতত্ত্ব। মূলত কবি হলেও গবেষণা ও কথাসাহিত্যেও রয়েছে তার সমান পদচারণা। এই পর্যন্ত প্রকাশিত তার কবিতার বইগুলাে হলােঃ ভুলম্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন (২০০৯) আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি (২০১০) ও বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস (২০১৬)। উপন্যাস: বিষ্যুদবারের বারবেলা (২০১৭)। শিশুতােষ: জয়নালবাদশা ও রাজপুত্র তাজেম (২০১১), উড়াল। ঘােড়া (২০১৭)। গবেষণা ও প্রবন্ধ: বেদে জনগােষ্ঠীর। জীবনযাত্রা (২০১১), বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক: নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিকধারা (২০১৫), বাংলাদেশের বেদে জনগােষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয় (২০১৫), রবীন্দ্রনাথ: কাবুলিওয়ালা, সুভা ও দালিয়া (২০১২), সাহিত্যে বেদে সম্প্রদায় (২০১৬), কিতুবীম হিব্রু কবিতার সাহিত্যমূল্য (২০১৭) ও লােকসংস্কৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ (২০১৭)। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৫।