ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কী আশ্চর্য! ছেলেরা জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করল। এখন একটু রেইপ-টেইপ, ফুর্তি-টুর্তিও করতে পারবে না? এইসব কখন করবে-বয়স আশি হলে/ নেতার ধমকে থানাদার ছেড়ে দেন ১৬ ডিসেম্বরের পর গজিয়ে উঠা মুক্তিযোদ্ধাদের। নেতাদের দুর্বিনীত পুরুষ আত্মীস্বজনেরা ধরেই নিয়েছে পরিত্যক্ত বাড়ি তাদের, ঠিকাদারি তাদের, ব্যাংকের টাকা তাদের, আপনার ঘরের সুন্দরী মেয়েটিও তাদের। হেলেনের সম্ভ্রমহানির ঘটনাটির সত্য নয় কিন্তু এই ছেলেরা যে তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছল একদেড় ঘন্টার এই ছোট্ট অংশটুকু মুছতে পারেনি তার জীবন থেকে। কারাবাগান সেকেন্ড লেনের এই মিষ্টি মেয়ে হেলেন আপনার চেনা না হয়ে পারে না। সময় ও সংসার তাকে ঐশ্বর্যের পথ দেখিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সেন্ট্রাল সার্ভিসের এক কর্মকর্তা সম্ভোগের শিকার হয়েছে, সংসারে কম প্রতারিত হয়নি। হেলেন তারপরও এগিয়েছে। ট্রয় নগরীতে লেলিহান অগ্নিশিক্ষা জ্বালিয়ে নয়, যেটুকু প্রজ্জ্বলন তার নিজের ভেতরেই। আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন নগরজীবনের এই উপন্যাসটি হাতে নিলে শেষ না করে ওঠতে পারবেন না।
নঈম নিজাম
নঈম নিজাম বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটি উজ্জ্বল নাম। এ দেশের টিভি মিডিয়াকে যারা সফল করে তুলছেন তাদেরও একজন তিনি। গত শতকের আশির দশকের শেষে এবং নব্বই দশকে ছিলেন রাজনৈতিক প্রতিবেদক। কাজ করেছেন ‘আজকের কাগজ’, ‘ভােরের কাগজ’সহ কয়েকটি দৈনিকে। চালু করেন একটি সংবাদ সংস্থা । টিভি এবং প্রিন্ট উভয় গণমাধ্যমে তার সর্বোচ্চ সফলতা। এটিএন বাংলার প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে অনেক সৃষ্টিতে যােদ্ধার মতাে অবদান তাঁর। পেশাগত জীবনে সফল অবস্থান থেকে ২০০৬ সালে ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব নেন ‘এসটিভি ইউএস’র । ফখরুদ্দীন, মঈন-ইউর সরকার এই চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর সম্পাদক। তাঁর নেতৃত্বে এ পত্রিকা দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক । নতুন সৃষ্টি ও পরিকল্পনায় তার আনন্দ। জীবনের বড় সাফল্য প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় অনেক সাংবাদিক সৃষ্টি। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করতে গিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, মিডিয়ার জন্য আরও অনেক কিছু করার আছে ।