দুনিয়াজুড়ে কত যে অযুত-নিযুত সম্ভাবনা ছড়িয়ে আছে তার হিসেব নেই । আমাদের তরুণেরা চাইলে সহজেই সেগুলো লুফে নিতে পারে । বিশ্বজুড়ে উড়াল দিতে পারে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে । এই পন্থায় সম্মানজনক জীবিকা অর্জনের নিশ্চয়তা যেমন আছে, আছে জ্ঞানবিজ্ঞানে অবদান রাখারও সুযোগ । অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য বিসিএসের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে । বিসিএস নিয়ে চারদিকে এমন উন্মাদনা ছড়িয়ে রাখা হয়েছে যে তরুণরা আর অন্যকিছু নিয়ে ভাবতেই পারছে না । অথচ, বিসিএসে পাশের হার ১ পার্সেন্টেরও কম ।
অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষার বেলায় বিসিএসের মতো এতটা অসম প্রতিযোগিতাও নেই । আমাদের পাশের দেশগুলোর বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে প্রতি বছর বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে । এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ ‘ইনফরমেশন গ্যাপ’—তথ্যগত ঘাটতি । আর সেই ঘাটতিগুলো পুরণের লক্ষ্যেই এই গ্রন্থটির অবতারণা । বিদেশে উচ্চশিক্ষায় কী পরিমাণ সুযোগ আছে এবং কীভাবে সে দিকে আগাতে হবে, মোটকথা বিদেশে উচ্চশিক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা কিছু প্রয়োজন তার সবই উঠে এসেছে এই দুই মলাটের ভেতর । বিসিএসের অবাস্তব মোহ কাটিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষামুখী সুনাগরিক গড়ে তোলায় মাইলফলক হবে এ বই, ইনশাআল্লাহ ।
ড.মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন
দুই সন্তানের জনক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ১৯৭৬ সালে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গত ২২ বছরের অধিক সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা এবং বায়োমেডিক্যাল/জনস্বাস্থ্য সেক্টরে গবেষণা করছেন। ড. হোসেন ঢাকা কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তিনি National University of Singapore (NUS) থেকে ডেভলপমেন্টাল-মলিকিউলার বায়োলজি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর, DUKE-NUS Graduate Medical School and Singapore Cancer Centre-এ পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় সিঙ্গাপুরে গবেষণার উচ্চতর ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে সিনিয়র ম্যানেজার (বায়োটেক ডিভিশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সে এসোসিয়েট প্রফেসর এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি ইউনিভার্সিটির অনারারি এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে জড়িত রয়েছেন। ড. হোসেন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাইন্ডেশনের (বিআরএফ) সায়েন্টিস্ট হিসেবেও গবেষণা করছেন। তিনি বিআরএফ-এর উদ্যোগে স্কুল হেলথ রিসার্চ প্রোগ্রামের আলোকে শিশুদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা (থ্যালাসেমিয়া, স্থূলতা) নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা করছেন। তিনি সায়েন্স কমিউনিকেটর হিসেবে গত ২৫ বছর ধরে লেখালেখি করেন। করোনা অতিমারির সময় ড. হোসেন জনস্বাস্থ্যবিষয়ক নীতি-নির্ধারণে সহযোগিতা করতে জনপ্রিয় মূলধারার সংবাদ মাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে অবদান রেখেছেন। ড. হোসেন ‘বিসিএস নাকি বিদেশে উচ্চশিক্ষা?’ বইয়ের লেখক।
Title :
বিসিএস নাকি বিদেশে উচ্চশিক্ষা? (হার্ডকভার)