বঙ্গবন্ধু যে ভাষায় কথা বলতেন সেই ভাষায়ই বক্তৃতা দিতেন। ভাষার মাধুর্য, শব্দচয়ন ছিল মনোমুগ্ধকর, শ্রোতার অন্তরে প্রবেশ করে তা সৃষ্টি করত মর্মস্পর্শী অবয়ব। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ, বাঙালিদের গর্বের ভাষণ। এই ভাষণও তিনি উপস্থিত মত দিয়েছেন। কোনো লিখিত বক্তৃতা দেননি। এই ভাষণকে সম্মুখে রেখে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল এই ভাষণ। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকমটি আর আছে বলে মনে হয় না। চির অমর হোক এই ভাষণ। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আজ ৪৫ বছর পরেও এই ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হচ্ছে। যখনই এই ভাষণ শুনি তখনই মনে হয় এক জীবন্ত আখ্যান, এখনই ভাষণ দেয়া হচ্ছে। মর্মস্পর্শী, উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী, ঐতিহাসিক, সুদূরপ্রসারী, নাটকীয় এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক এক অনবদ্য ভাষণ। যুগ যুগ ধরে এই ভাষণ জীবন্ত হয়ে থাকবে। এ বইতে বিংশ শতাব্দীর কয়েকটি বিখ্যাত ভাষণের আলোকে ৭ই মার্চ-এর ভাষণের প্রেক্ষিত ও বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।
এ বি এম নুরুল হক
এ.বি.এম. নুরুল হক ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম.এ. পাশ করেন। কিছু সময় শিক্ষকতা করার পর ১৯৬৪ সালে তৎকালিন পাকিস্তানের বৃহত্তম বীমা কোম্পানী ইষ্টার্ন ফেডারেল ইউনিয়ন ইন্স্যুবেন্স কোম্পানী লিঃ এবং মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। জনাব হক দেশে বিদেশে বীমার উপর উচ্চতর প্রশিক্ষন লাভ করেন। তিনি এদেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দক্ষ বীমাবিদ। তাঁর লেখা জীবন বীমা বিক্রয় ব্যবস্থাপনা, ইসলামী বীমা (তাকাফুল) এবং Thoughts on Insurance নামক তিনখানা বই প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন ইনষ্টিটিউট, একাডেমী এবং শিক্ষা প্রতিষ্টানে অতিথি বক্তা হিসেবে প্রশিক্ষন দান করে থাকেন। এছাড়া সেমিনার, সিম্পোডিজয়াম ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠান ও সংগঠনে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছেন। বইপত্র সংগ্রহ ও পড়া এবং লেখালেখি করে অবসর সময় পার করেন। তিনি রোটারী ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন।
Title :
বজ্রকণ্ঠ ও স্বাধীনতা : বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ভিন্নমাত্রার মূল্যায়ন