খোলা বাজার আর আকাশ সংস্কৃতির যুগে হালের তরুণ-তরুণীদের সামনে হাতছানি দেয় কিছু লোভনীয় পেশা। যা অর্থের সাথে দিতে পারে পরিচিতি। কখনো-সখনো খ্যাতিও। মিডিয়ার ঝলমলে সেই জগৎ যেন কাঁচের পৃথিবী। বায়বীয় তার রঙ। এখানে সন্তর্পণে পা না রাখতে পারলেই স্খলন। বহ্নি চায় এমনই এক পৃথিবীর বুকে হেঁটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। দীপ্তি নিম্ন মধ্যবিত্তের ভ্যালুজ ভেঙে বোনকে সমর্থন যোগায়। কিন্তু যে সমাজের মূল্যবোধ ক্ষয়িষ্ণু সেখানে কি করে সম্ভব টিকে থাকা? এমনই এক কাহিনী বায়বীয় রঙ। উপন্যাসটি নতুনধারা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
গাজী তানজিয়া
জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭। সমাজতন্ত্রের আদর্শে প্রভাবিত হলেও পুরোপুরি সমাজতন্ত্রী নন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর। সঙ্গীতে তালিম নেন শৈশব থেকেই, সঙ্গে আঁকা-আঁকি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে লেখালেখিকেই একমাত্র প্রকরণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। জাতীয় দৈনিকে রাজনৈতিক বিন্ধ রচনার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখির শুরু। গল্প, উপন্যাস ছাড়াও লেখেন শিশু-কিশোরদের জন্য। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘আনন্দ আলো’ সাহিত্য পুরস্কার ২০১০-এ ভূষিত হয়। প্রকাশিত গ্রন্থ : ১. জাতিস্মর (উপন্যাস), ২. পৃথিবীলোক (উপন্যাস), ৩. বায়বীয় রঙ (উপন্যাস), ৪. অরক্ষিত দেশে অবরুদ্ধ সময়ে (নিবন্ধ সংকলন) ও ৫. সবুজ ঘাসে মুক্ত বেশে (কিশোর গল্প সংকলন)।