ইমন মোবাইল টিপতে টিপতে গেট দিয়ে বেরিয়ে গেল। নকিব আর রিপা পাশাপাশি বসে অনুষ্ঠান দেখতে লাগল। অনেকক্ষণ কেউ কোনো কথা বলছে না। নকিবের পাশে বসে রিপার ভালো লাগলেও ভেতরে কেমন যেন একটা ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সে ভাবল, কই আগে তো কখনো আমার এমন লাগেনি! তাহলে আমি কি নকিবের হৃদয়ে ধরা পড়ে গেছি? আর আমি ধরা না দিলেও ওর পাশে তো আমি অন্য কাউকে সহ্যও করতে পারি না, পারবও না। আমি চাই ও শুধু আমাকেই ভালোবাসুক। নকিব পাশ ফিরে একবার রিপাকে দেখল। রিপা সেটা বুঝে একটু নড়াচড়া করে আবার মঞ্চের দিকে তাকাল। নকিবের মনেও রিপা ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। ভালোবাসার সুপ্ত বাতাস আজ ঝড়ের বেগে বইতে চাচ্ছে। সে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। নকিব আর কথা না বলে থাকতে পারল না। সে রিপাকে বলল, তোমাকে দেখে আজ বেশ ভালো লাগছে। রিপা মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলল, আমারও। -কথাটা কি আমার দিকে তাকিয়ে বলা যায়?-আজ না। -আজ কেন নয়? ‘জানি না’ বলে হেসে নকিবের দিকে তাকাল রিপা। নকিবের বুকের ভেতরে মুহূর্তে দমকা হাওয়া বয়ে গেল। সে রিপার দেওয়া গোলাপ উঁচিয়ে বলল, ‘ভালোবাসি’। রিপা বলল, কাকে, ফুলকে? -না, যে দিয়েছে তাকে।