ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ যে কজন আসামীর জীবন ও বিচারকাহিনী এখানে লেখা হয়েছে, তাঁরা সকলেই মানব সমাজের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। শিল্প-সাহিত্য দর্শন-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যাঁরা নতুন চিন্তার প্রবর্তক তাদের অনেককেই সমকালের বিচারে লাঞ্ছিত হতে হয়। যাঁদের চিন্তা বা কীর্তির জন্য মানব সভ্যতা অনেকখানি এগিয়ে যায় জীবিতকালে তাদেরই কারুর ভাগ্যে জোটে তিরস্কার ,কারাবাস এমনকি মৃত্যুদণ্ড।
এই সব অসমসাহসী ও মহান মানুষের জীবন বারবার প্রমাণ করে দিয়ে যায় মানুষের আবিষ্কারের কোনো সীমা নেই। হৃদয় ও বর্হিজগতে মানুষ চিরকালের অভিযাত্রী । যে কোনো প্রকারে মানুষের চিন্তার স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে সমগ্রভাবে মনুষ্য সমাজেরই ক্ষতি হতে পারে। অতীতের এই সব কাহিনী হয়তো আমাদের ভবিষ্যতের পথ চেনাতে সাহায্য করতে পারে। -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সূচি * সক্রেটিস * যীশুখ্রীস্ট * নির্বাসনে দান্তে * জোন অব আর্কের বিচার * ক্রিস্টোফার কলাম্বাস * দুঃসাহসী ব্রুনো * গ্যালিলিও * ওয়াল্টার র্যালের বিচার ও মৃত্যু * মৃত্যু থেকে ফিরে এসে অমর ডস্টয়েভস্কি * বায়রন * পল গগ্যাঁ * অস্কার ওয়াইল্ডের অকালমৃত্যু
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন বাঙালি পাঠক হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ শক্ত। প্রথম আলো থেকে নীরা, কবিতা থেকে গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, দুহাতে লিখেছেন।কেবল লিখেছেন বললে ভুল হবে! লিখেছেন, আলোচিত হয়েছেন,সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে থেকেছেন। অসংখ্য পাঠক তাকে তুলে নেয়, পাঠ করে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
মারা গেছেন: ২৩ অক্টোবর, ২০১২, কলকাতা, ভারত
স্বামী বা স্ত্রী: স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
সন্তান: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৮৯); সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
কুইজ: সুনীলের লেখা প্রথম বই কোনটি?