‘রমণীয়’ এই শব্দটি অনেকের কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হবে। এই ক্ষেত্রে লেখক দুর্দান্ত রম্য ও রমণীয় সাহিত্য রচয়িতা আবদুশ শাকুরকে অনুসরণ করেছেন। তিনি রম্য শব্দটির সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু রচনার ক্ষেত্রে রমণীয় শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাঁর মতে, রম্য শব্দটি অনেক ক্ষেত্রে হালকা, হাস্যরসাত্মক,ভাঁড়ামিপূর্ণ লেখাকেও ইঙ্গিত করে : ‘অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে ও বঙ্গে’।
তাই পার্থক্য চিহ্নিত করার জন্য সুকুমার সাহিত্যকে তিনি রমণীয় রচনা বলেছেন, যা লালিত্য কিংবা মাধুর্যম-িত বটে তবে গল্প, উপন্যাস নয়, অর্থাৎ ননফিকশন। তবে গল্প-উপন্যাসের ভাষা রমণীয় হতে পারে।
এছাড়াও বহুমাত্রিক লেখক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতে, রম্য সাহিত্য শুধুই হাস্যরসাত্মক কিন্তু রমণীয় রচনা ‘জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার’কে স্পর্শ করে যায়।
মোটের ওপর বলা যায়, আমরা ছেলেবেলা থেকে যে রচনা শিখি ও লিখি সেটাই প্রাথমিক কাঠামো। তবে তাতে জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী দান করতে হবে, তবেই তা রমণীয় হয়ে উঠবে। লেখকের পরিচয় এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কবি, সাহিত্য-সমালোচক। পেশাগত জীবনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করেছেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সাবাহ, ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, ব্র্যাক এডুকশন প্রোগ্রামে। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিংয়ে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে অ্যাপ্লায়েড লিঙ্গুইস্টিকে গবেষণা করছেন। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই ‘সুঁচ রাজপুত্রের দুঃখ’, ‘ভুল হলে হবে’, ‘প্রিয় মেঘ’,’সৌন্দর্যের নকশা’(প্রবন্ধ)।