ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক যুবক তার হাতের স্টেনগান প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সামনে রেখে বলে, আপনাকে হত্যার কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে আমি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নিয়ে আপনার কাছে আসি, যাতে আপনার জীবন রক্ষা করা যায়। যুবকটি আরো বলে, এ গর্হিত কাজের জন্য যে শাস্তি দেবেন আমি তা মাথা পেতে গ্রহণ করবো। তাজউদ্দিন সামান্য জিজ্ঞাসাবাদের পর যুবকটিকে যেতে বলেন।
তাজউদ্দিন আহমদকে শুধু হত্যার চেষ্টািই করেনি তাঁর বিরোধীরা, তারা তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আপসারণ করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনাস্থা প্রস্তাব আনার চেষ্টাও করে। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে নেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
১০৭১ সালে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হলেও স্বাধীনতার পর অনেকটাই সফলতা অর্জন করে। তাদের সফলতার ফসলই মন্ত্রীপরিষদ থেকে তাজউদ্দিনের অপসারণ। উক্ত ষড়যন্ত্রকারীরাই ঘটায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট এবং ৩ রা নভেম্বর হত্যাকান্ড। ওই ষড়যন্ত্রকারীদের দেশবিরোধী সকল তৎপরাতা এবং তাজউদ্দিন আহমদের জীবন ও কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থে।
সূচিপত্র * তাজউদ্দিন আহমেদের জন্ম ও শিক্ষা * রাজনীতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাজউদ্দিন আহমদ * ৭১-এর অসহযোগ আন্দোলন ও তাজউদ্দিন আহমদ * মুক্তিযুদ্ধ ও তাজউদ্দিন আহমদ * ‘৭১-এর তাজউদ্দিন আহমদের ঘরসংসার * মুজিবনগরে তাজউদ্দিন বিরোধী ষড়যন্ত্র * হানাদার মুক্ত ঢাকায় তাজউদ্দিন আহমদ * দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্র, তাজউদ্দিনের পদত্যাগ * তাজউদ্দিন আহমদের শেষ বিদায় * গ্রন্থপঞ্জি
তপন কুমার দে
Title :
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে : তাজউদ্দিন আহমদ