জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা প্রায় ২৯০টি। এসব নদ-নদীর নামকরন, উৎপত্তি, ইতিহাস, গতিপথ ও অসংখ্য নাজানা কাহিনী স্থান পেয়েছে বইটিতে।
মোস্তফা কামাল
জন্ম বরিশালের আন্ধার মানিক গ্রামে। সেখানেই কাটে কৈশাের ও শৈশব। তারপর থেকে ঢাকায় নানা চড়াই উত্রাইয়ের মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলা। উচ্চশিক্ষা ইংরেজি সাহিত্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই সাহিত্যিক-সাংবাদিক আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত লিখছেন। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। তার প্রথম প্রকাশিত ছড়া ‘মেঘনা। প্রথম উপন্যাস ‘পাপের উত্তরাধিকার। প্রথম গল্প বীরাঙ্গনার লড়াই। প্রথম কিশাের উপন্যাস ‘ভিনদেশি গােয়েন্দা’, প্রথম সায়েন্স ফিকশন ‘ক্লোনমামা’, প্রথম শিশুতােষ বই ‘পাগলাভূত। প্রথম বিদ্রুপ ও রম্য বই ‘পাগল ছাগল ও গাধাসমগ্র। প্রথম নাটক ‘প্রতীক্ষার শেষ প্রহর’, প্রথম গবেষণামূলক বই ‘আসাদ থেকে গণঅভ্যুত্থান'। সাড়াজাগানাে উপন্যাস- জননী, জনক জননীর গল্প, পারমিতাকে শুধু বাঁচাতে চেয়েছি, জিনাত সুন্দরী ও মন্ত্রীকাহিনী, হ্যালাে কর্নেল প্রভৃতি। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯০টি। কলকাতা থেকে সাহিত্যম প্রকাশ করেছে দুটি বই। আফগানিস্তানে যুদ্ধপরবর্তী পরিস্থিতি, নেপালে রাজতন্ত্রবিরােধী গণঅভ্যুত্থান, পাকিস্তানে বেনজীর ভুট্টো হত্যাকাণ্ড এবং শ্রীলঙ্কায় তামিল গেরিলা সংকট কভার করেন এবং অসংখ্য প্রতিবেদন ও নিবন্ধ লিখে আলােচিত হন। এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, জাপান, মালয়েশিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও ভুটান সফর করেন। তিনি দেশে-বিদেশে সহস্রাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নেন। কলামিস্ট হিসেবেও রয়েছে তার বিশেষ খ্যাতি। তিনি কালের কণ্ঠে ‘সময়ের প্রতিধ্বনি’ ও ‘রঙ্গব্যঙ্গ’ নামে দুটি কলাম লিখছেন। বর্তমানে তিনি কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তার অবসর কাটে বই পড়ে, গান শুনে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।