ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ পরপর দুটি বছরকে গ্রন্থাগার ও সুশিক্ষাবর্ষ ঘোষণা করা একটি দুর্লভ ঘটনা। ১৮৫৪ সাল এদেশের গ্রন্থাগার তথা গণগ্রন্থগার জগতে ছিল একটি বিশেষ মাইল ফলক।
আর এ শতাব্দীতে এসে ২০০২-২০০৩ গ্রন্থাগারিকতার ক্ষেত্রে কালের পরিক্রমায় আরেকটি মাইল ফলক হিসেব চিহ্নিত হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের যুগান্তকারী ঘোষণা এ এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি, বেলিড, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার বান্ধব সমিতি, বাংলাদেশ বুক ক্লাবসহ একাধিক সংগঠনের নানাবিধ কর্মতৎপরতার এবারের বইমেলায় সর্বাধিক বই বিক্রি হয়েছে। জনগণের মধ্যে পাঠ মনস্কতা ফিরে আসছে। এগুলো ইতিবাচক দিক। এ বইতে মোট পয়তাল্লিশটি সমৃদ্ধ প্রবদ্ধ আছে। প্রবন্ধগুলি ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্টের। গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেয়ায় লেখক, গবেষক, পেশাজীবী জনাব মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান
জন্মঃ নাটোর জেলার সিংড়া থানার হুলহুলিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে ১৯৬১ সালের ১ আগস্ট। পৈত্রিক বাড়িও একই গ্রামে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পেশাগত জীবনের শুরু ইংরেজি পত্রিকায়। তারপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়ে বর্তমানে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে স্থিত হয়েছেন। ছাত্রজীবন হতেই পরিবেশ, ইতিহাস, গ্রন্থ, গ্রন্থাগার, গ্রন্থাগারিকতা বিষয়ে কৌতূহলী ছিলেন। লিখেছেন নিরলসভাবে অনুসন্ধানী রচনা। সাধারণ সাহিত্য ধারার বাইরে এসেও তিনি এ সকল বিষয়ভিত্তিক লেখায় পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এ যাবৎ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সেমিনার সিম্পােজিয়ামে অংশগ্রহণ এবং গবেষণার কাজে একাধিকবার বিদেশে ভ্রমণ করেছেন।