আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। সলাত এবং সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ এর প্রতি। এ বইটি অবশেষে আলোর মুখ দেখল। কিছু কথা স্বীকার করে নেওয়া কর্তব্য। সেই উদ্দেশে এই ভূমিকাটি:
- এ বইয়ের লেখাগুলো আমার দ্বারা লেখা হলেও আমি এর লেখক নই। কোথাও আমার কৃতিত্ব নেই। আল্লাহ কীভাবে যেন আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, পুরনো লেখাগুলো পড়লে আমার এ বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।
- এ বইয়ের উদ্দেশ্য বা বিধেয় একটিই—মানুষ যেন তার চারপাশের দুনিয়া, ঘটমান বর্তমান সম্পর্কে অন্যভাবে ভাবে; বাক্সের বাইরে উঁকি দেয়। মানুষের চিন্তার জায়গাতে নাড়া দেওয়ার জন্য ইসলামের দৃষ্টিকোণটা বেছে নিয়েছি। বংশসূত্রে পাওয়া অন্ধ ইসলাম নয়, কুরআন-সুন্নাহ থেকে শেখা ইসলাম। সেই ইসলাম—যা মানুষকে যৌক্তিক চিন্তার জায়গা করে দেয়।
- এ লেখাগুলোর অক্ষরের কালো রঙের একটা অন্ধকার দিক আছে। আমার মা, বাবা, সন্তান এবং স্ত্রীর প্রাপ্য সময়ের অনেকটাই পড়া এবং কিছুটা লেখার ক্ষেত্রে ব্যয় করেছি। আমি তাঁদের কাছে তাঁদের প্রাপ্য বুঝিয়ে না দেওয়ার দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যে গাছটা ঝলমলে আলোয় আলোকিত, তার শিকড়গুলো অন্ধকারেই থাকে। মানুষ গাছ দেখে, শিকড় না। গাছ হিসেবে আমি শিকড়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
- আমি একজন মানুষ, খুব তুচ্ছ একজন মানুষ। এ লেখাগুলো আমার শিক্ষা এবং ভাবনার প্রতিফলন। এতে মানবিক ভুল থাকতে পারে। বিশুদ্ধ ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো ভুল যদি চোখে পড়ে, তবে ভুলটা ধরিয়ে দেবেন এটাই একান্ত কাম্য।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান
জন্মঃ নাটোর জেলার সিংড়া থানার হুলহুলিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে ১৯৬১ সালের ১ আগস্ট। পৈত্রিক বাড়িও একই গ্রামে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পেশাগত জীবনের শুরু ইংরেজি পত্রিকায়। তারপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়ে বর্তমানে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে স্থিত হয়েছেন। ছাত্রজীবন হতেই পরিবেশ, ইতিহাস, গ্রন্থ, গ্রন্থাগার, গ্রন্থাগারিকতা বিষয়ে কৌতূহলী ছিলেন। লিখেছেন নিরলসভাবে অনুসন্ধানী রচনা। সাধারণ সাহিত্য ধারার বাইরে এসেও তিনি এ সকল বিষয়ভিত্তিক লেখায় পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এ যাবৎ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সেমিনার সিম্পােজিয়ামে অংশগ্রহণ এবং গবেষণার কাজে একাধিকবার বিদেশে ভ্রমণ করেছেন।
Title :
বাংলাদেশের গ্রন্থ, গ্রন্থাগার ও শিশুসাহিত্যবর্ষ