স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ। সে সময় ভোট সংগৃহীত হয়েছিল শতকরা ৫৪.৯ ভাগ। নির্বাচনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তৎকালীন গণপরিষদের স্পীকার মোহাম্মদ উল্লাহ।
বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ভোট দেয়া যেমন আমাদের দায়িত্ব তেমনি দায়িত্ব দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত সংবিধান ও আইনকানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও আইনের আওতাধিন, তাদেরও যে কিছু বিধিনিষেধ আছে সেসব কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ অনেকেই জানি না কিংবা জানতে চাই না। আপাতদৃষ্টিতে যেটুকু বোঝা যায় তাই সব ভেবে বসে থাকি।
এতোকিছু বলার উদ্দেশ্য ওই একই। সামনে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সম্পর্কে যে কোন আইন ও তথ্য আগাগোড়া জানতে সংগ্রহ করতে পারেন এই বইটি ‘বাংলাদেশ নির্বাচন জাতীয় সংসদ, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ (১৯৪৭-২০০৬)’
এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওসার
জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৯ জানুয়ারি নরসিংদী জেলায় রায়পুরায়। পিতা মরহুম ডাঃ মােঃ রােস্তম আলী এমবিবিএস, সরকারি চাকুরিজীবী। মাতা মােসাম্মৎ রৌশনআরা, গৃহিনী।
রায়পুরা থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএসসি ও পরবতীতে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশায়। আইনজীবি। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক।
স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকালসহ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাজীবনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে নিজেও অনেকবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের পর পর ২টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৯ তে পােলিং এজেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে ২০১, নরসিংদী-৫ নির্বাচনী আসনে প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেন এবং প্রার্থী প্রতিবারই বিজয়ী হন। পেশায় আইনজীবি হলেও নির্বাচনী বিষয়সহ। খেলাধূলায় সাংগঠনিক দায়িত্ব দক্ষতার পরিচয় রাখেন, ফুটবল ফেডারেশন (বিএফএফ) সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বই ও পত্রিকা পড়া এবং দেশ-বিদেশে ভ্রমন প্রিয় নেশা। সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ইটালি, ভ্যাটিকানসিটি, জাপান, দ: কোরিয়া, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও সার্কভূক্ত দেশসমূহসহ ১৯টি দেশ ভ্রমন করেছেন। বাংলাদেশের ৬২টি জেলা ও ৩৮৬ উপজেলায় ভ্রমন করেছেন। ছাত্র রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে নির্বাচন বিষয়াদি সম্পর্কে কৌতুহলী কাওছার পরবর্তীতে বিভিন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করে অনেক তথ্যাদি সংরক্ষণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনেক সাময়িকী সম্পাদনাসহ সাফ ফুটবল ২০০৩ সুভেনির সম্পাদনা করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সেলিনা এম,এ, গৃহিনী। দুই সন্তান, অলীদ বিন কাওছার ও অরীদ কাওছার।