ভূমিকা গণিত অলিম্পিয়াড হচ্ছে আজ এক যুগ ধরে।আমরা সাফল্যের সঙ্গে ১০টি আয়োজন শেষ করছি। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে জানতে চায়, অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন কেমন হবে।আমরা কখনো ওয়েবসাইট দেখতে বলি, কখনো পুরোনো পত্রিকা দেখতে বলি।এবার আমরা সহজে বলতে পারব, ‘পুরোনো প্রশ্ন দেখতে চাও? এ বইটি দেখো!’অনেক চেষ্টার পর এই গণিত অলিম্পিয়াড প্রশ্ন সংকলন বইটির কাজ সমাপ্ত হলো। গণিত অলিম্পয়াড সাধারণ পাঠ্যবই থেকে কিছুটা ভিন্ন। নমুনা প্রশ্ন থাকলে গণিত অলিম্পিয়াড সম্পর্কে ধারণা পেতে এবং গণিত অলিম্পয়াডের জন্য প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। সে কারণে এ বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে এখন পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার সব গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন রয়েছে।আঞ্চলিক, জাতীয় ও ক্যাটাগরি অনুসারে প্রশ্ন সাজানো রয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন খুঁজে পেতে পাঠকদের সুবিধা হবে।বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের এক যুগ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে হয়েছে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক আয়োজন।সব অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন একসঙ্গে রাখাই তাই বিশাল ব্যাপার। তবে সব প্রশ্ন রাখা হয়নি।বাছাইও করা হয়েছে।অনেকই হয়তো বলবেন, প্রশ্নের সঙ্গে সমাধান দিয়ে দিলে ভালো হতো। আসলে গণিত অলিম্পিয়াড একটি আদর্শের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে যে প্রশ্ন যেন কখনো পুরোনো না হয়।সমাধান দিয়ে দিলে তো হয়েই যেত, প্রশ্নগুলোও মলিন হয়ে যেত। বরং প্রশ্নগুলো নতুনই থাক। প্রতিদিনই গণিত অলিম্পিয়াডের সঙ্গে নতুন ছেলেমেয়েরা যুক্ত হচ্ছে। আর আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধার ওপর আমাদের বিশ্বাস অনেক, এসব মামুলি সমস্যার সমাধান তারা করতে পারবেই।অনেক দিন ধরে এ বইটি প্রকাশের কথা আমরা ভেবেছি। চিন্তাটা প্রথমে এসেছে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নবীর মাথায়।কিন্তু গণিত অলিম্পিয়াড স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।আমাদের কোনো স্টোর রুমও নেই। ফলে ডকুমেন্টশনের অবস্থা সুবিধাজনক হয়।অধিকাংশ ক্ষেত্রে অলিম্পিয়াডের প্রশ্নগুলোর কোনো হার্ডকপি থাকে না, কারও কারও মেইলে সফটকপিগুলো পাওয়া যায়।আবার প্রথম দিকেরগুলোর হার্ড বা সফট কোনো কপিই নেই।আমাদের প্রথমবারের প্রশ্ন করেছিরেন স্বর্গত গৌরাঙ্গ স্যার।প্রশ্ন হয়েছিল সিলেটে।পরের কয়েক বছর জাতীয়-এর প্রশ্ন হয়েছে জাফর ইকবাল স্যারের বাসায়। সব প্রশ্ন জোগাড় করার উপায় এখন আর নেই। তার পরও একটা অসাধ্য সাধনে নেমেছিল গণিত অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারী বায়েজিদ ভূঁইয়া জুয়েল, একাডেমিক সমন্বয়কারী অভীক রায় ও সুমুর দক্ষিণ কোরিয়ায় অধ্যায়ানরত সুব্রত দেবনাথ।তাঁদের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সব জোগাড় করা গেছে। তবে আমাদের যত-না ইচ্ছ, তার চেয়ে বেশি ছিল তাম্রলিপির রনির তাগিদ।কাজেই এই বই প্রকাশের যদি কারও ধন্যবাদ পাওয়া দরকার, তাহলে সেটি রনি।গণিত অলিম্পিয়াডের কোনো কাজই পূর্ণতা পায় না আইয়ুব সরকারের হাত ছাড়া ।এ বইটি ও এর ব্যতিক্রম নয়।সবার সেকেন্ড ডিফারেনসিয়াল নেগেটিভ হোক। মুনির হাসান সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
মুনির হাসানের (জন্ম ২৯ জুলাই, ১৯৬৬) জন্ম চট্টগ্রামে। হাইস্কুলের পড়ালেখাও সেখানেই- সেন্ট মেরিজ, মুসলিম এডুকেশন সােসাইটি ও মুসলিম হাইস্কুল। পরে চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে ঢাকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দৈনিক সংবাদের সাপ্তাহিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফিচার পাতায় লেখালেখির মাধ্যমে সাহচর্য পেয়েছেন বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী আ, মু. জহুরুল হক, আবদুল্লাহ আল-মুতী, শরফুদ্দিন কিংবা এ আর খানের। তাদের অনুপ্রেরণায় নিজেকে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের কর্মী হিসেবে গড়ে তােলার চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ভােরের কাগজে এবং ১৯৯৮ সাল থেকে দৈনিক প্রথম আলােয় বিজ্ঞানবিষয়ক সাপ্তাহিক ফিচার পাতার সম্পাদনা করেছেন। ২০০৩ সালে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মােহাম্মদ কায়কোবাদের সঙ্গে থেকে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে তােলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। বর্তমানে তিনি কমিটির সাধারণ সম্পাদক। গণিতের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রােগ্রামিং প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ নামের প্ল্যাটফর্মটা তরুণদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছে। গণিত আর বিজ্ঞান নিয়ে লেখার পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির পাঠ্যপুস্তক রচনা ও সম্পাদনায়। বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলােয় যুব কর্মসূচি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। স্ত্রী সামিয়া আকতার, পুত্র ফারদীম রুবাই ও কন্যা ওয়ামিয়া বিদুষীকে নিয়ে মুনির হাসান ঢাকায় থাকেন।