বইটির রচনাশৈলী আকর্ষণীয়। বইটিতে এই দুই নেতাদের হত্যাকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা বর্ণনা করা হয়েছে। বইটির এক অংশে কিছু সাদা-কালো ছবি সংকলন করা হয়েছে। ছবিগুলির মধ্যে নিহত শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, নিহত জেনারেল জিয়াউর রহমানের ছবি, বিভিন্ন অভ্যুত্থানের ছবি, ষড়যন্ত্রকারীদের ছবি, শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদের ছবি, সরকারী নথিপত্রের কিছু ফটোকপি, সরকারী গেজেটের ছবি উল্লেখযোগ্য।
লেখকের দাবি অনুসারে বইটিতে লেখা হয়েছে কারা মুজিবকে হত্যা করেছিল, কারা জেল হত্যায় জড়িত ছিল এবং কীভাবে জেনারেল জিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল। এই বইটিতে জেনারেল কোর্ট মার্শাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার জন্য ফাঁসি দেওয়া কর্মকর্তাদের একটি তালিকাও রয়েছে।
অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস
অ্যান্থনী মাসকারেণহাস (১৯২৮-'৮৬) জন্মসূত্রে ভারতীয় গােয়ানীজ খৃস্টান, বসবাস সূত্রে পাকিস্তানী। করাচীতে সাংবাদিকতা পেশায় ১৯৪৭ সনে বয়টার -এ যােগ দেন। পাকিস্তান সংবাদ সংস্থা, এপিপি এবং নিউইয়র্ক টাইমস, টাইম/লাইফ সাপ্তাহিকীর ১৯৪৯-১৯৫৪ পর্যন্ত সংবাদদাতা ছিলেন। করাচীসহ “দি মর্নিং নিউজ”এর চীপ রিপাের্টার, পরে সহ-সম্পাদক পদে ১৯৬১ সন থেকে ১৯৭১ সনের মে মাস পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। একাত্তরের এপ্রিল মাসে ঢাকা সফরকালে গণহত্যার তথ্যাদি সংগ্রহ করেন এবং বিলেতে পালিয়ে গিয়ে সানডে টাইমস (১৩ই জুন ’৭১) পত্রিকায় গণহত্যার তথ্যাদি প্রকাশ করে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতে অগ্রণী ভূমিকাপালন করেন। তাছাড়া উপমহাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাবলী অন্তরঙ্গ আলােকে প্রত্যক্ষ করে সাংবাদিকের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তা বর্ণনা করেন। দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রক্তের ঋণ গ্রন্থ দুটি সেই আলােকেই বিচার্য। ১৯৮৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর অ্যান্থনী মাসকারেণহাস হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Title :
বাংলাদেশ অ্যা লিগ্যাসি অব ব্লাড (হার্ডকভার)