বিষয় হিসেবে ইতিহাস সবসময় চ্যালেঞ্জিং এবং বিস্মৃতিপ্রবণও বটে, কারণ একটা সময় আসে যখন ঘটনা ও কল্পনা এবং সারবস্তু ও ছায়াকে আলাদা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, এ দেশে ইতিহাস রচনার বিষয়টি অনেক সময় দলের প্রতি অনুগত থাকার কারণে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে থাকে। বাংলাদেশ : ছয় দশক এ জাতীয় ত্রুটিগুলো কাটিয়ে ওঠার এক প্রচেষ্টা, তবে এখানে কেবল ঘটনাবহুল ছয়টি দশকের স্বতন্ত্র ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়নি, বরং সমগ্র জাতির গন্তব্য নির্ধারণকারী ঘটনাগুলোর বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস যথাসম্ভব নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করা করেছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে যে বিষয়গুলো প্রত্যেক বাঙালিকে আলোড়িত করেছিল সেগুলোর ন্যায়সঙ্গত অনুসন্ধান উদ্যোগের ফলাফল হচ্ছে এই গ্রন্থটি।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম একজন প্রখ্যাত লেখক, অধ্যাপক এবং কলামলেখক। তিনি ১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে, ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস-এর কবিতা নিয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং সাহিত্য ও শিল্পকলায় বিশেষ প্রাজ্ঞ ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে "স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প," "আধখানা মানুষ," এবং "নন্দনতত্ত্ব"। "প্রেম ও প্রার্থনার গল্প" বইটি ২০০৫ সালে প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বই হিসেবে নির্বাচিত হয়। সাহিত্যে তাঁর সার্বিক অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৬) এবং একুশে পদক (২০১৮) লাভ করেন।
মুহাম্মদ জামির
আনিসুজ্জামান
আনিসুজ্জামান (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ - ১৪ মে ২০২০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯), এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য’, ‘আমার একাত্তর’, এবং ’সোশ্যাল এস্পেক্টস অব এন্ডোজেনাস ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিয়েটিভিটি’। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে একুশে পদক, ২০১৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, এবং ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।