একজন কবি পৃথিবীতে কবি স্বীকৃতি চাইবে অথচ কাহ্লিল জিবরানকে জানবে না কিংবা তার কবিতা পড়বে না এমনটি বিস্ময়কর। কারণ প্রতিভায়, খ্যাতিতে ‘গ্রেট’ একজন কাহ্লিল জিবরান। একই সাথে কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, চিত্রকর, দার্শনিক, জিবরানের বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘স্যান্ড অ্যান্ড ফোম’ অর্থাৎ ‘বালি ও ফেনা’ মননে দারুণ মাদকতা সৃষ্টি করে। মাসুদুল হকের সাবলীল অনুবাদ সকলের জন্য উপভোগ্য।
কহলীল জিবরান
কহলীল জিবরান। জন্ম: ১৮৮৩ সাল, বিসাররী, লেবানন । পিতার নাম: খলীল জিবরান। মা কামিলেহ ছিলেন ইস্তিফান রাহমে নামক একজন জাযকের কন্যা। কৈশােরে মা, সভাই ও দু’বােনসহ আমেরিকা অভিবাসী হন। প্রথমে থিতু হন বষ্টনে এবং পরবর্তীকালে নিউইয়র্কে। ‘দ্য প্রফেট' গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সারা পৃথিবীর কবিতা পাঠকের কাছে পরিচিত। প্রফেট প্রকাশিত হয় ১৯২৩ সালে। তার কবিতার উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলাে ভৌগােলিক বিচরণের ক্ষেত্রে সময়হীনতা এবং মরমী দার্শনিকের এক অবাস্তব জগত। জিবরান তার বহু রচনায় বিভিন্ন ধারণা ব্যাখ্যা করতে ছােট ছােট বর্ণনামূলক আখ্যান ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এসব ছিল মূলত নীতিকথামূলক আখ্যানের প্রতিস্থাপন। শিক্ষামূলক রচনা, প্রবচন, প্রতীকাশ্রয়ী কাহিনী ও শ্লেষসমৃদ্ধ গদ্য- কৌতুক এসবই হচ্ছে জিবরানের রচনার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক। তবে আরবি ও ইংরেজি উভয় রচনাতেই তার অদ্ভুত ষ্টাইল তার রচনাকে দিয়েছে মনােমুগ্ধকর চমত্তারিত্ব। জিবরান ভালবাসা সম্পর্কে এক জায়গায় বলেন, ভালবাসা ব্যাখ্যা করার জন্য কোন শব্দের দরকার হয় না, কারণ ভালবাসা হল একটা অচঞ্চল প্রার্থনা সংগীত, যা রাতের নীরবতার ভেতরে শােনা যায় এবং সেখানে ধোঁয়াশা ও সবকিছুর জন্য রয়েছে নির্যাস। জিবরান ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল, শুক্রবার নিউইয়র্কের সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে মারা যান।