লিপি কাজী'র 'বাজি' উপন্যাসটি এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস। আমাদের পুরুষ আধিপত্যবাদী সমাজে নারীর মর্যাদা সম্মান এখনো আমাদের প্রতিনিয়ত ভাবায়। আমার পাওয়া তথ্য মতে প্রকৃতির নিয়ম-বিরুদ্ধতা ও বিজ্ঞান বিরুদ্ধতা ও অজ্ঞতাই এর মূল উপজিব্য। জন্মলগ্ন থেকে শুধু নারীপ্রেমের কত কী সু-আয়োজন দেখে এসেছি, কখনো পুরুষ সৌন্দর্য্য চয়ন ইতোপূর্বে লক্ষ্য করিনি যা লিপি কাজীই প্রথম সাবলিল বর্ণনাভঙ্গীতে প্রকাশ করেছেন। লেখক একজন সম্রান্ত মুসলিম নারী হয়েও তার সঠিক উপলব্ধিতে পুরুষের অলংঘনীয় প্রয়োজনীয়তা, প্রেম ও সৌন্দর্য্য বর্ননার এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস চিত্রায়িত করে তিনি অনন্য। সাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। দু'জন নর-নারীর পবিত্র সম্পর্ক তথা স্বৰ্গীয় মিথস্ক্রিয়াই মূল, যেটি উপলব্ধির জন্য সুস্থ্য ও পবিত্র চিন্তা প্রয়োজন। লেখকের সাহসী ও সত্য লেখনীর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তিনি স্বভাবতই প্রকৃতিতত্ত্বের এক সুস্থ চিন্তার প্রতিভূ, যার ফলে এই অব্যক্ত সুন্দর একটি ভাবনা বাস্তবতার নিরিখে খুব চমৎকার শব্দচয়নে ফুটিয়ে তুলেছেন। এখানে যে কথাটি না বললেই নয়, লেখকের উপন্যাস পাঠে মনে হয় না তিনি একজন আইনজ্ঞ, আমার মনে হয় তিনি একজন প্রকৃত সাহিত্য পিপাসু মানুষ। জ্ঞান পিপাসু এই লেখকের শব্দ অলংকরণ একালের লেখকদের মধ্যে অসামান্য যা পাঠককে মুগ্ধ করবে, 'বাজি' উপন্যাসের ‘অনি' ও 'অধরা' চরিত্র দু'টি পাঠকহৃদয় নাড়া দেবে বলেই আমার বিশ্বাস। আজিজুল হক ভূঁইয়া এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট