ভূমিকা আদিম যুগের মানুষ’রান্না জানত না। যা পেত তা কাঁচা কাঁচাই খেত। তারপর যখন আগুনের ব্যবহার জানল-বেঁধে খেতে শিখল, সেদিন থেকে উন্নতি এলো তার জীবনযা্ত্রা প্রণালীতে। তারপর বহু-বহু বছর কেটে গেছে। নানান পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিবর্জন ও পরিমার্জনের মধ্যে দিয়ের রন্ধন-প্রণালী আজ এক শিল্পকলার পর্যায়ে উঠে এসেছে। প্রাচীন শাস্ত্রকারেরা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে শাস্ত্র সম্মত শ্রেষ্ঠ চৌষট্টি কলার মধ্যে রন্ধন কলা হচ্ছে অন্যতম। একটা কথা মনে রাখবেন, যে খাদ্য খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি, সেই খাদ্যই আবার সময়ে সময়ে আমাদের মৃত্যু ঘটায়। তার প্রধান কারণ খাদ্যগুণের দিকে আমাদের অমনোযোগিতা। খাদ্যের গুরুপাক বা লঘুপাকের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয় না। শরীর রক্ষার সকল উপাদান রান্না করা খাদ্যে আাছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হয় না। এ স্বভাব বর্জনীয়। রান্নাকরা খাদ্যসামগ্রী যাতে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজপ্রাচ্য ভোজ্যরূপে প্রস্তুত হয় সে দিক তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবেন। সাধারণতঃ বাচ্চাদের টিফিন নিয়ে মায়েরা বড় সমস্যায় পড়ে যান। বাচ্চারা রোজ রোজ পাউরুটি, জ্যাম, ডিম সেদ্ধ, সন্দেশ নিয়ে যেতে চায় নিা টিফিনে চায় নিত্য নতুন খাবার খাবার। সকালবেলা তাড়াতারিড়র সময়ে মায়েদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। কাজে কাজেই এমন টিফিন তৈরি করতে হবে যা বানানোয় বেশি হাঙ্গাম নেই। সূচিপত্র * সূপ সূরূয়া * ভাত-পুর-পরটা * ডাল * নিরামিষ রান্না * ডিম * মাছ * মাংস * মিষ্টি * কেক-বিস্কিট * নোনতা জলখাবার * চাটনি-আচার-জ্যাম-জেলি-সস্ * রুগীর পথ্য * অতিথি এলে মুখরোচক টুকিটাকি বাচ্চাদের স্যান্ডউইচ রং বেরঙের আটা ময়দার টিফিন টিফিনে আলুর রকমারি চপ, রোল, কাবাব, ফ্রাস্কি ছানার নানান টিফিন চিজ খেতে মজা চাইনিজ সকলের প্রিয় কেক বিস্কুট নানা রকম টিফিনে মিষ্টি খাবার