ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ পিটার সিঙ্গার একজন সব্যসাচী এবং সৃজনশীল লেখক। তার জন্ম ১৯৪৬ সালের ৬ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে । বিংশ শতা্ব্দীর নীতিদর্শনের বিকাশে তাঁর নৈতিক অভিমত এবং নীতিবিদ্যার প্রকৃতি আলোচনা গুরুত্বপূর্ন প্রভাব সৃষ্টি করে। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত তাঁর ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা গ্রন্থটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং অচিরেই একটি ক্ল্যাসিক্স হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। গ্রন্থটিতে লেখক একটি উদার নৈতিক উপযোগবাদী দৃষ্টিকোণ থেকৈ সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক বিষয়াবলি সমর্থন করেন। এ কারণে গ্রন্থটি বিশেষজ্ঞ ও নব্য পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এগ্রন্থে তিনি সংক্ষিপ্ত আকারে নীতিবিদ্যার আলোচনা করেন। এবং উপযোগবাদের সঙ্গে এক ধরনের সমতাবাদের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেন। নৈতিক অবধারণের সর্বজনীনতা থেকে উপযো্গবাদের অবরোহন এবং চিরায়ত ও অগ্রাধিকার উপযোগবাদের প্রতি তাঁর আকর্ষণ অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। গ্রন্থটি প্রথাগত বা প্রচলিত নীতিবিদ্যার বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ স্বরুপ। যেমন,তাঁর ব্যক্তি সম্পর্কে ধারনা এ কথাই প্রমাণ করে যে কিছু কিছু উচ্চতর প্রাণীর জীবনের মূল্য কিছু কিছু মানুষের জীবনের মূল্যের সমান বা তার চেয়েও অধিক। এ ছাড়া কৃপাহত্যা, গর্ভপাত ,শিশুহত্যা ইত্যাকার বিষয়গুলো উপযোগবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে সমর্থন যোগ্য। তাই এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই যে তাঁর এসমস্ত মতবাদ একদিকে জনপ্রিয় এবং অন্যদিকে দার্শনিক সমালোচনার সৃষ্টি করে। তিনি এই গ্রন্থে সমতা এবং এর তাৎপর্য , মানবেতার প্রাণীর অপহরণ, হত্যা, গর্ভপাত ,ধনী ও দরিদ্র ,জলবায়ু ,পরিবেশ ,সহিংসতা ,আইন অমান্য আন্দোলন ও সন্ত্রাসবাদ এবংআমি কেন নৈতিক ভাবে কাজ করব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সুন্দর ও সাবলীল আলোচনা করেন। সিঙ্গার বর্তমান সময়কার সবচেয়ে আলোচিত,সমালোচিত,নন্দিত ও নিন্দিত দার্শনিক।
সূচিপত্র * ভূমিকা অধ্যায়-১: নীতিবিদ্যা প্রসঙ্গে * অধ্যায়-২: সমতা ও এর তাৎপর্য * অধ্যায়-৩: মানবেতার প্রাণীর সমতা? * অধ্যায়-৪: হত্যা কিভাবে অন্যায়? * অধ্যায়-৫: প্রাণহরণ: মানবেতর প্রাণী * অধ্যায়-৬: প্রাণহরণ:গর্ভপাত * অধ্যায়-৭: প্রাণহরণ:কৃপাহত্যা * অধ্যায়-৮: ধনী এবং দরিদ্র * অধ্যায়-৯: জলবায়ু পরিবর্তন * অধ্যায়-১০: পরিবশে * অধ্যায়-১১: আইন অমান্য আন্দোলন,সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ * অধ্যায়-১২: কেন নৈতকি ভাবে কাজ করবো? * টীকা-টিপ্পনী,তথ্যনির্দেশ এবং অতিরিক্ত পাঠের তালিকা * পরিভাষা * নাম-নির্ঘন্ট