ভূমিকা আমাদের চলমান সামাজিক জীবন-চিত্রে এমন ঘটনা অহরহই দেখা যায় যে শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে সুশিক্ষিত সন্তান-সন্ততিদেরও হৃদয়বৃত্তির কোনাে মূল্য দেয়া হয় না। বিশেষত সেই সন্তানটি যদি কন্যা সন্তান হয়। অনেক সময় আবেগতাড়িত হয়ে ছেলেমেয়েরা নিজেরাই কিছু করে বসে, ফলশ্রুতিতে না পারে তারা নিজেরা পুরােপুরি সুখি হতে, না পারে তাদের বাবা-মা সুখে-শান্তিতে দিন কাটাতে। ক্ষেত্রবিশেষে তাে ছেলেমেয়েরা চরম পথটাই বেছে নেয়, তখন পিতামাতার সারাজীবন বুক চাপড়ে কাঁদা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতে বাবা মা মেনে নেন, কিন্তু ততদিনে নদীর পানি অনেকখানিই গড়িয়ে যায়, সাথে নিয়ে যায় জীবনেরও অনেক খানি। গড়িয়ে যাওয়া দিনগুলি তাে আর ফিরে পাওয়া যায় না! জীবনটা যে সন্তানের, বাবা-মা’র না, এ কথা যেন বাবা মা বুঝতেই চান না। শত উদাহরণেও তাদের শিক্ষা হয় না। তেমনি একটি পটভূমিতে লেখা এই বইখানা।