‘বাবা, আমি কি তোমার সেই সন্তান যাকে তুমি চাওনি?’ এরকম বিস্ফোরক প্রশ্ন দিয়ে এ উপন্যাসের শুরু। কাবেরী জানে, তিন সন্তানের মধ্যে বাবা তাকেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন, তবু এ জিজ্ঞাসা তাকে তাড়িত করে অহর্নিশি। কেন? সমাজের বিধিবদ্ধ কোনো নিয়মকে বিনা প্রশ্নে ছাড় দিতে রাজি নয় কাবেরী। প্রিয় উপন্যাস দি অ্যাওয়েকেনিং-এর নায়িকা এডনা’র মত জীবনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কারও কর্তৃত্ব মানতেও রাজি নয়। বাবা মা-র সাজিয়ে দেয়া জীবনের বাগানে প্রজাপতি নয়, মুক্ত বাতাসে উড়ে বেড়ানো ঘাসফড়িংয়ের জীবনই পছন্দ তার। কাবেরী কি পারবে সমাজের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নিজের মত করে বাঁচতে? কেবল দুঃস্বপ্নের বেনোজলে হাবুডুবুই খাবে সে, নাকি সব গল্প শেষ হলে তার জন্যও অপেক্ষা করে আছে এক নীল-নির্জন দিন ...
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।