ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা না জানি কত দশক যাবত তালাবদ্ধ এক দরজা। কথিত আছে সেই বদ্ধ দরজার ওপাশে নিবাস এক পিশাচসাধকের অন্ধকার আত্মার, নিবাস তাঁর আরাধ্য প্রাণীদের।কি হবে, যখন অবসান হবে কয়েক দশকের সুদীর্ঘ সেই প্রতীক্ষার? কি ঘটবে, যখন উম্মুক্ত হয়ে যাবে অন্য ভুবনের রহস্যময় সেই দরজা? কি হবে, যদি অন্ধকারের প্রাণীরা বিস্তার করতে শুরু করে তাদের পৈশাচিতক ছয়া এই ধুলো মাটির পৃথিবীতে? কি হবে পরিণতি যখন অন্ধকার শক্তিরা আত্মপ্রকাশ করবে তাদের সমস্ত কদর্যতা নিয়ে।এই কাহিনী মানব মনের সমস্ত বোধের ওপারে থাকা সেই নামহীন শক্তির, যাকে প্রকৃতি সর্বদা আড়াল করে রাখে সযত্ন সতর্কতায়।এই কাহিনী চির পুরাতন সেই যুদ্ধের-অশুভের বিপক্ষে শুভ শক্তির যুদ্ধ, অন্ধকারের বিপক্ষে আলোর যুদ্ধ। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জিততে কি পারবে প্রকৃতির প্রেরণ করা শুভ শক্তির যোদ্ধারা? জানতে হলে পড়ুন হরর উপন্যাস অতিলৌকিক। শ্বাসরুদ্ধকর এক পিশাচ কাহিনী। নিঃসন্দেহে!
রুমানা বৈশাখী
অনেকে রসিকতা করে বলেন, বয়সকে অতিক্রম করেছেন তিনি তাঁর লেখায়। তিনি রুমানা বৈশাখী । জন্ম ঢাকায়, ১২ মে ১৯৮৫। ঢাকায়ই বেড়ে ওঠা পড়ালেখাও। স্নাতকোত্তর করেছেন রসায়ন বিজ্ঞানে, ইডেন কলেজ থেকে। লেখালেখির সাথে জড়িত দীর্ঘদিন । নেশার বশে শুরু করলেও এই সৃজনশীল পেশাটিকেই অবলম্বন করে বেঁচে আছেন, এই পেশাতেই ক্যারিয়ার গড়েছেন আর সেভাবেই বাঁচতে চান সারাটা জীবন। কাজ করেছেন মাসিক সাহিত্য পত্রিকা আলাে ও ছায়া-র সহকারী সম্পাদক হিসেবে। নারী বিষয়ক পত্রিকা পারিতেও তিনি সহকারী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন প্রিয়.কম-এর এডিটর ইন চার্জ পদে, কাজ করছেন লাইফস্টাইল জার্নালিজম নিয়ে। একই সাথে পরিচালনা করছেন প্রিয় আনসারের মতাে একটি পরামর্শ বিষয়ক ওয়েবসাইট। সাবলীলতা রুমানা বৈশাখীর লেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য রহস্য, রােমাঞ্চ, রম্য, হরর, সায়েন্স ফিকশনসাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই লিখছেন সমান তালে, স্বাচ্ছন্দ্যে। খুব অল্প বয়সেই প্রকাশিত একক বইয়ের সংখ্যাটা বেশ ভারী। সিনেমা ও নাটকের বৈচিত্র্যময় জগতেও পা রেখেছেন আগেই। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে তাঁর লেখা একাধিক নাটক। লিখেছেন শর্ট ফিল্ম। তাঁর জীবনে একটিই মাত্র লক্ষ্য, লিখতে থাকা ও ভালাে লেখার চেষ্টা করে যাওয়া। উল্লেখযােগ্য বই এবং ও অতঃপর, ঋতানৃত, হিপােক্রাট, দুঃস্বপ্নের রাত, পােস্টমর্টেম, বিভীষিকা, সােয়া দুই ফুট, মেঘ লীনা, অতিলৌকিক, বিবর্তন, সন্ধ্যা হয়ে আসে, অহর্নিশ, অবমানব, অবয়ব, শায়াতিন ইত্যাদি।