মুনতাসীর মামুনের জন্ম ১৯৫১ সালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এম. এ.. পিএইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। লেখালেখি করছেন ১৯৬৩ সাল থেকে। ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন ছাত্র-আন্দোলনে এবং ১৯৬৯ সাল থেকে এ-পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছেন প্রতিটি সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনে। স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্পাদক। একই সময়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি। তাঁর সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ডাকসু’র মুখপত্র ছাত্রবার্তা। এছাড়াও বাংলাদেশ লেখক শিবির ও বাংলাদেশ লেখক ইউনিয়নের ছিলেন তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যথাক্রমে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সম্পাদক। ঢাকা নগর জাদুঘরের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন তিনিও একজন । এছাড়াও তিনি জড়িত বিভিন্ন একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বাংলাদেশে লেখালেখির জগতে মুনতাসীর মামুন একটি বিশিষ্ট নাম। সমসাময়িককালে তার মতাে পাঠক নন্দিত লেখক খুব কমই আছে। গল্প, কিশােরসাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, চিত্রসমালােচনা, অনুবাদ ইত্যাদিতে তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ ও সেই সাথে রাজনৈতিক ভাষ্যে অর্জন করেছেন বিশেষ খ্যাতি । উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৭০। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, ড. হিলালী স্বর্ণপদক পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৩), মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক ইত্যাদিতে তিনি সম্মানিত। স্ত্রী ফাতেমা মামুন ছিলেন একজন ব্যাংকার ।
এইচ. জি. ওয়েলস
এইচ. জি. ওয়েলস্ (হারবার্ট জর্জ ওয়েলস্) ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ করেন বিপুল জনপ্রিয়তা। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য টাইম মেশিন সাড়া ফেলে দিয়েছিল চারদিকে। এইচ. জি. ওয়েলস কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের আরেক দিকপাল জুলভার্নের মতাে সায়েন্স ফ্যান্টাসী রচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ছিলেন না। তিনি তাঁর দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসে এ জাতীয় যন্ত্র তৈরির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা জুলভার্নের কোনাে রচনাতেই পাওয়া যায় না। জীবনের প্রথমলগ্নে বেশ কিছু নারীঘটিত কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই খ্যাতিমান কল্পবিজ্ঞান লেখক। তাঁর লেখা দ্য টাইম মেশিন ছাড়াও আরাে কয়েকটি চমকপ্রদ উপন্যাস হলাে 'দ্য ইনভিজিবল ম্যান, ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডক্টর মােরাে, ‘গ্রহযুদ্ধ, স্লিপার অ্যাওয়াকস, ‘দ্য লর্ড অব ডায়নামাস,' 'ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন' ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে বেশ কয়টি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান এই প্রবাদপ্রতিম কল্পবিজ্ঞান লেখক। অনুবাদক : সালেহা চৌধুরীর এবারের অনুবাদ এইচ. জি. ওয়েলসের অদৃশ্য মানব। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা পঞ্চাশের মতাে। অনুবাদ করেছেন দশটি গ্রন্থ। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, সব বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে। লন্ডনে স্কুলে পড়াতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। সৃষ্টিশীল সাতিহ্যিক বলে। অনুবাদেও এই সৃষ্টিশীলতা বর্তমান।