অতল সমুদ্রে গ্রন্থ পরিচিতি
১৮৬৬ সাল। সমুদ্র-দানবের কারণে ইউরোপ, আমেরিকা সহ অনেক দেশের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জনমতের চাপে ১৮৬৭ সালে আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজ ‘আব্রাহাম লিঙ্কন’কে পাঠানো হয় দানবকে ধ্বংস করার জন্য। জাহাজে ওঠেন ফরাসি প্রকৃতিবিদ প্রোফেসর পিয়ের আরোনাক্স। সাথে সেবক ও সহকারী কনসেইল এবং কানাডিয়ান হার্পুনার নেড ল্যান্ড। শুরু হয় অভিযান। দানবের সাথে সংঘর্ষে বন্দিহয় ওরা। এটা দানব ছিল না, ছিল লোহার তৈরি একটা ডুবোজাহাজ। এর কমান্ডার মানবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এক ব্যক্তি, সমুদ্র যায় আবাস। নিজের পরিচয় দেন ‘কেউ নয়’, অথচ পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে দ্বিধা করেন না। জাপান সমুদ্র থেকে শুরু হয় গভীর সমুদ্রে ভ্রমণ। প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর, ভূমধ্যসাগর, আটলান্টিক, তারপর দক্ষিণ মেরু জয় করে আমেরিকা হয়ে ইউরোপ।চলার পথে বিস্ময়কর দর্শনীয় স্থান দেখার পাশাপাশি নানান বিপদ। এভাবে ৪৩,২০০ মাইল বা ২০,০০০ লীগ পাড়ি দেবার পর এই বন্দিরা কি ডুবোজাহাজ থেকে পালাতে পারবে?
১৮৭০ সালে প্রকাশিত জুল ভার্ন এর এই উপন্যাস কেবল অভিযানের গল্প নয়, আছে সমুদ্র জয়ের বিভিন্ন ইতিহাস।
জুল ভার্ন
জুল গাব্রিয়েল ভার্ন একজন ফরাসি লেখক ও অসামান্য সব বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনার জন্য বিখ্যাত। উড়োজাহাজ, রকেট কিংবা সাবমেরিনের বাস্তবিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের অনেক পূর্বেই তিনি মহাকাশ ভ্রমণ ও সমুদ্রের তলদেশে ভ্রমণের কল্পকাহিনী লিখেছিলেন। পৃথিবীতে আগাথা ক্রিস্টির পরেই তাঁর লেখা সবচেয়ে বেশী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।