প্রাচীন বঙ্গের জ্ঞানসূর্য বলে খ্যাত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। সমকালীন বৌদ্ধবিশ্বকে আপন আলোয় আলোকিত করে তিনি আজও সুউচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত। এই জ্ঞানতাপসের জীবনসাধনার বর্ণিল অধ্যায়গুলোর শৈল্পিক রূপায়ণ ঘটেছে এই ঐতিহাসিক উপন্যাসে। এতে অতীশ দীপঙ্করের জন্ম ও রাজবংশ পরিচিতিসহ প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে অতীশ-গুরু নাড়োপা এবং শিষ্য চর্যাপদের কবি ভুসুকুপার কথা-যাঁরাও ছিলেন প্রতিভা, প্রজ্ঞা এবং অধ্যাত্ম গরিমায় বাঙালি মনীষার উজ্জ্বল নক্ষত্র। কাহিনির গতিময়তা, ঘটনার নাটকীয়তা, ভাব ও বিষয়বস্তুর গভীরতা, অধ্যাত্ম ভাবলোকের তান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং চরিত্র নির্মাণ ও পরিস্ফুটনের দক্ষতায় ঔপন্যাসিক অসামান্য শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়ে উপন্যাসটিকে অনন্য শৈল্পিক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন; অতীশের চরিত্রের মতই যেন সুউচ্চ এর চূড়া।