স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের প্রথম পনেরো বছরের পরিধিতে প্রায় সমান্তরালভাবে চারিত্র্য পাওয়া চারটি অশনির কথারূপ এই উপন্যাসে পরিমিত ভাষ্যে, চরিত্র ও ঘটনার দ্বান্দ্বিকতায় বিবৃত হয়েছে।
দুর্নীতি, সামরিক শাসনের ক্ষত, ধর্মান্ধতা এবং সমাজতান্ত্রিক সংগ্রামের ব্যর্থতা থেকে বাংলাদেশ কবে মুক্তি পাবে, আগামী দিন করবে তার হিসাব।
‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’-র দর্শনকে ধারণ করে বলে মানবতাবাদী কামরুল কি নাস্তিক? না কি কামরুলের মতো মানুষ ধর্মান্ধদের জন্য এক বিপজ্জনক অস্তিত্ব? কমরেড আশরাফ হোসেন হেরে যান কেন? সামিদার মৃগীরোগ তৈরি করে বিশেষ সমাজ। শ্রমজীবী মানুষদের যথার্থ শিক্ষা না দিতে, সুবিধাবাদী পুঁজির শিক্ষিতরা (?) অনেক সার্কাস করে বর্ণপরিচয় পড়ান! খুনি, যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মের ব্যাবসাদারি জমির আলীর বিচার কতদিনে শেষ হবে?
বেঁচে থাকবার জটিল অঙ্ক যোগ ও বিয়োগ, এক সময়ে সামরিক শাসকের বন্দুকের সামনে মিছিল করা, অঙ্কের শিক্ষক অজ্ঞেয়বাদী ফাতিমা শিকদারকে খাদের কিনারে নিয়ে যায়।