ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের প্রকাশিত -অপ্রকাশিত সমগ্র রচনা নিয়ে চার খণ্ডে বিভক্ত রচনাবলির প্রথম খণ্ড এই বই।
আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালির অভিমত: ....আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়, তাঁর মুক্তবুদ্ধ,সৎসাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে। ----আহমদ শরীফ
....আরজ আলী মাতুব্বর জীবনের জিজ্ঞাসার যে চিত্র তুলে ধরেছেনে , তা পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতে সক্ষম। ----- সাইদুর রহমান
....আরজ আলী মাতুব্বর প্রথম ও নির্মম যে অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে , তার কথাই বলেছেন তাঁর বইতে। বর্ণনা করে নয় প্রশ্ন করে। ------সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
..... আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের অহঙ্কার ও আত্নতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন। ------হাসনাত আবদুল হাই
সূচিপত্র * সত্যের সন্ধানে * অনুমান * স্মরণিকা অপ্রকাশিত * বেদ-এর অবদান অসমাপ্ত পাণ্ডলিপি * ভাবি প্রশ্ন * না-বুঝে প্রশ্ন * টুকিটাকি * আমার জীবনদর্শন * বিভিন্ন আলোকচিত্র * হস্তাক্ষরে লেখা চিঠি * নির্ঘণ্ট
আরজ আলী মাতুব্বর
স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিবাদী এই অভিধাগুলাে যথার্থভাবে যার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য তিনি দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর। ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ জন্ম গ্রহণের পর হতে নিরন্তর সংগ্রাম, সংঘাত ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আপন জীবনাভিজ্ঞতায় পরিচ্ছন্নবােধ অর্জন করেছিলেন। কৃষিকাজ ও আমিন পেশায় রত থেকেও এই অগ্রগামী মহাপুরুষ অবিচল আস্থায় সংস্কার ও অন্ধ আবেগের পশ্চাৎমুখীতাকে ক্রমাগত শনাক্ত করেছেন। ফলে তার ওপর পাকিস্তানি শাসনামলে গ্রেপ্তারি, মামলা ও মতপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরােপিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশেও মৌলবাদীসহ সমাজের বিভিন্ন মহল কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয়েছে তাকে। সংস্কারবিমুখ মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য পাঠাগার স্থাপন, মানবকল্যাণে চক্ষু ও শরীর দান এবং দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণিত, কবিতা ও আত্মজীবনীসহ মােট ১৮টি পাণ্ডুলিপি রচনা ইত্যাদি অবদানে মানবমণ্ডলীকে ঋণী করে গেছেন তিনি। ৭ কন্যা ও ৩ পুত্রের জনক এই মহতী ব্যক্তিত্বের মৃত্যু ঘটে ১ চৈত্র ১৩৯২ বঙ্গাব্দে।