আর্গুমেন্টস অব আরজু (পেপারব্যাক)
আর্গুমেন্টস অব আরজু প্রথম যখন প্রকাশিত হয় তখন একটা ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হয়েছিলো। নাস্তিকতার যুক্তিখণ্ডন। ‘নাস্তিকতার যুক্তিখণ্ডন’ আর ‘নাস্তিকদের যুক্তিখণ্ডন’ এই দুটো ট্যাগলাইন এক না। নাস্তিকতার যুক্তিখণ্ডনে মূলত আল্লাহর অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব, evolution vs creation এগুলো থাকে। কিন্তু ‘নাস্তিকদের যুক্তিখণ্ডন’ এই টার্মটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘নাস্তিকতার যুক্তিখণ্ডন’ বলে ধরা হয়। এটার পেছনেও একটা কারণ আছে। বাংলাদেশে যারা তথাকথিত নাস্তিক, তাদের দিক থেকে মোটাদাগে যেসব অভিযোগ আসে সেগুলো মূলত সরাসরি আল্লাহর অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়ে নয়। তারা ইসলামের বিধান নিয়ে প্রশ্ন করে। কুর’আন নিয়ে প্রশ্ন করে। ইসলামের ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন করে। আর্গুমেন্টস অব আরজু ছিলো তাদের এরকম কিছু অভিযোগের জবাব নিয়ে গল্পাকারে একটি বই। তবে এই বইয়ে যেসব প্রশ্ন নিয়ে ডিল করা হয়েছে তার সবগুলোই যে নাস্তিকদের দিক থেকে আসে, এমন না। কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলো কুর’আন (অনুবাদ) পড়তে গেলে সাধারণ মানুষের মনেও জাগে। যেমনঃ কুর’আনের অনুবাদ পড়তে গেলে দেখবেন কোথাও কোথাও আল্লাহ নিজেকে বুঝাতে ‘আমরা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু, আল্লাহ তো এক। তিনি কেন ‘আমি’ ব্যবহার না করে ‘আমরা’ ব্যবহার করেছেন? আর্গুমেন্টস অব আরজুতে এরকম সংশয়মূলক প্রশ্নেরও জবাব দেওয়া হয়েছে। আবার খ্রিস্টান মিশনারীদের থেকেও কিছু প্রশ্ন আসে। তাদের উপস্থাপনা কৌশলের নৈপুণ্যে সেগুলোকে ধ্রুব সত্য মনে হতে পারে। আর্গুমেন্টস অব আরজুতে এটা নিয়েও ডিল করা হয়েছে। সাহিত্যিকরা গল্প-উপন্যাসে নানাভাবে ইসলামকে ভুল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। গল্প-উপন্যাস পড়ার সময় এগুলো সিরিয়াসলি ধরা পড়ে না। তারা এতো সুন্দর করে এগুলো সাজিয়ে লিখেন যে, গল্প-উপন্যাস পড়তে গিয়ে এসব তথ্যকেও আমরা সত্য বলে ধরে নিই। বাংলা সাহিত্যে লেখকদের এরকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কয়েকটি ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে আরজু তার বন্ধুর সাথে কথা বলে।