ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ নিউইয়র্ক, ডেনভার, প্যারিস ও বার্লিন। চারজন লোক চারটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল।
ওরা দুই নারী- দুই বিধবা নারী। হঠাৎই ওদের ওপর শুরু হয়ে গেল নির্মম হামলা। আতঙ্ক ও ভয়ের জগতে প্রবেশ ঘটল দুজনের। কিন্তু ওরা কেন অজানা শত্রুর আক্রমণের টার্গেট হল? এর কারণ কি এটা যে ওদের মধ্যে একজন একটি বিখ্যাত ক্রিমিনাল ট্রায়ালের সাক্ষী? অথবা এর সঙ্গে ওদের স্বামীদের মৃত্যুরহস্যের কোনও যোগযোগ রয়েছে?
এদিকে একটি আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংকের প্রধান নির্বাহী ট্যানার কিংসলে এমন একটি জিনিস আবিষ্কার করতে চলেছে যা দুনিয়ার ভবিষ্যৎ বদলে দেবে। আবিষ্কারের ফলাফল কোম্পানিকে এনে দেবে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা। কিন্তু এ ভয়ংকর গোপনীয়তার সঙ্গে রহস্যময় মৃত্যুগুলোর কোনও যোগাযোগ আছে কি? আরও মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হবে?
পাতায় পাতায় সাসপেন্স আর রোমাঞ্চ নিয়ে রচিত আর ইউ অ্যাফ্রেড অভ দ্য ডার্ক? শেলডনের পাঠকদের শিহরিত করে তুলবেই।
সিডনি শেলডন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস' বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন, প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তার সবচেয়ে হিট রােমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরাে কামস, দ্য ডুমসডে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস, মেমােরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। এই বিখ্যাত লেখক ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।