পারমিতা কলেজে পড়ায়। রাজর্ষি ওরফে রাজা উচ্চপদের চাকরি নিয়ে দিবারাত্র ব্যস্ত। যথা সম্ভব মানিয়ে-গুছিয়ে কলেজ আর সংসার দুটোই চালাই পারমিতা। একই সঙ্গে অশুস্থ বাবার চিকিৎসার দেখভাল ও করতে হয় তাকে। বড় দায়িত্ব পেয়ে রাজা বেঙ্গালুরু চলে গেলে পারমিতার জীবনে এক অদ্ভুত সংকট দেখা দেয়। দু’-একবার অল্প সময়ের জন্য রাজা এসেছে কলকাতায়, পারমিতা ও গিয়েছে বেঙ্গালুরু, কিন্তু তাতে চাপা অশান্তি দূর হয়নি। সকলেই যেন চায়, পারমিতা অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে চলে যাক রাজার বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে। কী করবে পারমিতা? নিজের জীবনে তার কোন অধিকার নেই? স্বামীর অনুগমন করাই কি আজও স্ত্রী-র একমাত্র কর্তব্য? সুচিত্রা ভট্রাচার্যের ‘অর্ধেক আকাশ’ উপন্যাসে আছে এক অভিমানী নারীর ভালবাসার শাস্তি নিয়ে বেঁচে থাকার মর্মস্পর্শী কাহিনী।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য
জন্ম ভাগলপুরে, ১০ জানুয়ারি, ১৯৫০। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে দক্ষিণ কলকাতায়। ছােটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি গভীর টান বােধ করতেন। তবে লেখালেখিতে মনােযােগী হয়েছেন সত্তর দশকের শেষ থেকে। সুচিত্রার লেখাতে বারবারই ঘুরেফিরে আসে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের আত্মিক দিক, নানান জটিলতা। আবার ছােটদের জন্যে গােয়েন্দা কাহিনি, হাসির গল্প থেকে গভীর প্রেম ও বিরহের গল্প সব পরিধিতেই সমান জনপ্রিয় তিনি। নিষ্ঠাবান এই লেখিকা নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এইসব পুরস্কারের মধ্যে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমােহিনী পদক, শরৎ সাহিত্য পুরস্কার, দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার, শৈলজানন্দ পুরস্কার, তারাশঙ্কর পুরস্কার, কথা পুরস্কার, সর্বশেষ দীনেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫ প্রভৃতি। পত্রভারতী প্রকাশিত বই শুধু প্রেম, তবু প্রেম, হায় প্রেম, বত্রিশের ধাক্কা। গপ্পোসপ্পো, হাসি মজা ডট কম, কুড়িয়ে পাওয়া পেনড্রাইভ, ছােটদের বারােরকম। আকস্মিক প্রয়াণ ১২ মে ২০১৫।