এপিটাফ
এপিটাফ মানে হলো কবরের উপর লেখা স্মৃতি চিহ্ন! মানে আপনি মরার আগে যেই ওসিয়ত করে যাবেন সেই কথাটায় আপনার কবরের উপর এই স্মৃতিফলক টা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হবে। এই বইটা তাদের জন্য যারা তাদের গন্তব্য ভুলে উদভ্রান্তের মতো ভুল রাস্তা ধরে অনেকদূর এগিয়ে গেছে, আর যারা পথ ভুলে যাচ্ছে তাদের জন্য। ছোট ছোট গল্প নিয়ে সংকলন করেছেন প্রিয় ভাই সাজিদ ইসলাম এই বইটিকে। এই বইটা ছোট ছোট নসিহত মনে করলে ভুল হবে না। বই পড়লে এরকম বই পড়া দরকার যে বই আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় আমরা কোন জাতি! আমাদের উদ্দেশ্য কি? আমরা কোথায় আসছি! আমার কি করছি? আমাদের গন্তব্যস্থল কোথায়? আমাদের স্বরণ করিয়ে দিবে পরকালের কথা। আখেরাতের কথা মনে পড়ে যাবে। আমরা যে বিজয়ী ছিলাম সেটা আমরা জানতে পারবো। আমরা যে পুরুষ কিন্তু বর্তমানে আমরা আমাদের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলছি কিভাবে তা জানতে পারবো.... সর্বোপরি বইয়ের রিভিউ বলতে গেলে দ্বীনের উপর অটল থাকতে হলে বইটি পড়া দরকার।
উদাসীনতার উদয়াস্তে কেটে যাচ্ছে আমাদের জীবনের সমস্ত দিন-রাত্রী। অর্থ বিত্তের মোহে বুঁদ হয়ে ডুবে আছে দুনিয়াদারীর খেলায়। ন্যায়, অন্যায়, পাপ পূণ্যের বাছ বিচার না করেই কিশের নেশায় যেন ছুটছি ক্ষিপ্র ব্যাঘ্রের মতো। আল্লাহ্কে ভুলে, তাঁর দ্বীনকে ভুলে প্রতিদিন আমরা কতই না গোনাহের মধ্যে লিপ্ত হচ্ছি। কিন্তু কীসের জন্য এত পরিশ্রম আমাদের? যার জন্য আমরা আমাদের জীবন বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছি তা কি আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য? নাকি আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য আল্লাহ্কে পাওয়া! এই জীবনের পরের জীবনের সুখ শান্তির লক্ষ্যে আমরা কি করছি? নাকি পরের জীবনকে ভুলে শুধু এই জীবনের জন্যই সবকিছু করছি! কেন করছি? আমাদের কী করা প্রয়োজন? এসবের উত্তর পেতে আপনাকে পড়তে হবে সাজিদ আহমেদের লেখা এপিটাফ বইটি। সাজিদ আহমেদ অত্যন্ত সুন্দর কলেবরে আমাদের ইহ ও পরকালের জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক উপস্থাপন করেছেন। বইটি আমাদের গাফেল অন্তরে একটু খানি দ্বীনের প্রণোদনা দেবার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে বলে আমি মনে করি।