ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বাস্তব ঘটনা কোনো কোনো কল্পনাকেও হার মানায়। জীবকের জীবনে এ বাক্যটি ছিলো অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। জীবক ছিলে এক রাজপুত্র। অথচ কেউ জানতো না সত্যি সত্যিই সে রাজপুত্র কিনা। এ কারণে এক বিস্ময়কর জীবনের অধিকারী ছিলো জীবক। একজন মানুষের জীবনে একই সঙ্গে কী করে এতো স্নেহ-বঞ্চনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে পারে, ভেবে জবাব পাওয়া যায় না।
আজ থেকে আড়াই বছর আগে ভারতবর্ষে মগধ নামে একটি রাজ্য ছিলো। মগধের শাসক শ্রেণিক বিম্বিসারের পুত্র অভয় কুমার ছিলেন স্বঘোষিত চিরকুমার। জীবককে তিনি পুত্র পরিচয়ে রাজপুত্রের সম্মান দিয়ে লালন-পালন করেছিলেন। কিন্তু একদিন জীবকের সামনে এসে দাঁড়ায় এক কঠিন প্রশ্ন : কে সে? কে ওর বাবা-মা? জীবক যখন প্রশ্ন করে, সবাই মুখ রিরিয়ে নেয়। সুতরাং পরিচয়হীনতার অপমান নিয়ে জীবক পা বাড়ায় অজানার পথে। জীবক গিয়ে আশ্রয় নেয় সর্বকালের সেরা চিকিৎসক তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আত্রেয়ের কাছে। আত্রেয়ের স্নেহ ও শিক্ষার মধ্যে নানা সমস্যা জয় করে একদিন জীবক বিশ্বসেরা চিকিৎসক হয়। ঘটনাক্রমে সে ফিরে আসে মগধে। কিছুদিন পরে আবার সেই প্রশ্ন এসে দাড়ায় জীবকের সামনে : জীবক আসলে কে?
অবশেষে এক মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে জীবক জানতে পারে কে ওর বাবা, কে ওর মা।
ইতিহাসের পুরোনো পাতার সেই ঘটনা আজও বিস্মিত করবে একবিংশ শতাব্দীর পাঠকদের। কারণ তাদেরও তো একই প্রশ্ন : কে ছিলেন জীবকের বাবা? কে ছিলেন ওর মা? আর .....
এনায়েত রসুল
এনায়েত রসুল স্বনামখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মােহাম্মদ নাসির আলীর দ্বিতীয় পুত্র। ১৯৫৩ সালের ১২ জুন বিক্রমপুরের ধাইদা গ্রামে জন্ম। লেখাপড়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর। লেখালেখির জগতে বিচরণ ১৯৬৫ থেকে। প্রথম লেখা ছাপা হয়েছে। ‘জুনিয়র রেডক্রস’ পত্রিকায়। ওটা ছিল ছড়া। সব বয়সী পাঠকদের জন্যে লেখেন এনায়েত রসুল। তবে মূলত শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্য সৃষ্টিতে তার দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮০। এনায়েত রসুলের পাঠকপ্রিয় বইগুলাের মধ্যে এক আকাশ মেঘ এক পশলা বৃষ্টি পােডড়া বাড়ি রহস্য ডক্টর নিপুর এক্সপেরিমেন্ট নিঝুমগড় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্করের হাতছানি বাতিঘরের বুড়াে অন্যরকম বুবাই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী চিকিৎসা বিজ্ঞানে আবিষ্কার চিচি বিজ্ঞানীদের জীবন ও আবিষ্কার এবং আমাদের জাতিসত্তা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ উল্লেখযােগ্য। এনায়েত রসুল শিশুতােষগল্পের জন্য ইউনিসেফ ঘােষিত “মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড২০০৮' পদক অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আমার দেশ’-এ সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত। সেইসঙ্গে ছােটদের পাতা ‘এক্কাদোক্কা’ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।